রামুতে ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
রামু(কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এতে বানের পানিতে ভেসে গেছে এক শিশু। ভেসে যাওয়া শিশুটি রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমবোমাংখিল গ্রামের তিন বছরের এক শিশু। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভেসে যাওয়া শিশু মোহাম্মদ জুনায়েদ একই গ্রামের নুরুল হুদা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নুরুল আলম মুঠোফোনে বলেন, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় নিচু এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছিলেন নুরুল হুদার পরিবার। এরই মধ্যে তঁর শিশু সন্তান জুনায়েদ পানিতে ডুবে যায়। পরিবারের সদস্যরা অল্পক্ষণ পর তাকে উদ্ধার করে গর্জনিয়া বাজারের একটি বেসরকারী ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে গর্জনিয়া কচ্ছপিয়ার নিম্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। ডুবে আছে উপজেলার একাধিক ইউনিয়নের গ্রামীণ যাতায়াতের পথ। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক। এতে করে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এখানকার হাজারো জনসাধারণ। বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে গর্জনিয়া বাজার, কচ্ছপিয়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের সর্বসাধারণ। বিশেষ করে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ওই এলাকার নি¤œাঞ্চল কচ্ছপিয়া ইউনিয়ানের তিতার পাড়া, ডিককুল, দৌছড়ি, জামছড়ি, মৌলভির কাটা, শুকমুনিয়াসহ গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড় বিল, পূর্ব জুমছড়ি, টাইম বাজার, পশ্চিম জুমছড়ি, গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আশপাশের গ্রামের বসত বাড়িতে পানি উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার রাত থেকে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ার তিতার পাড়া, গর্জনিয়া বাজার, শুকমুনিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রাম, পুর্ব বুমাংখিল, গর্জনিয়া বাজার হতে চাকমার কাটা গুরুর বাজার পর্যন্ত সড়কসহ কযেকটি গ্রামে পানি উঠে যাতাযত করতে পারছেনা জনসাধারণ। গর্জনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল জানান, হঠাৎ করে প্রবল বর্ষণে বন্যার ফলে বাকঁখালী ব্রিজের ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। নুরুল আলম মেম্বার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত হতে গর্জনিয়ার ইউনিয়নের টাইম বাজার থেকে সিকদার পাড়া, পূর্ব জুমছড়ি, বড় বিল এবং শাহ সুজা সড়কে পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।