খুলনার ঈদ মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়
শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা : পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে খুলনায় জমে উঠছে ঈদের বাজার। নিজের ও প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোশাক কিনতে মার্কেট এবং শপিংমলগুলোতে বেড়েছে ক্রেতার ভিড়। জৈষ্ঠ্যের প্রচ- গরমে মানুষের অবস্থা বেগতিক। স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে হাঁপিয়ে উঠছেন। কিন্তু ঈদের মার্কেটে গরম প্রভাব ফেলেতে পারছে না।
সকাল-সন্ধ্যা এমনকি গভীর রাতে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মার্কেট গুলোতে কেনাবেচা জমে উঠছে। ঈদে ক্রেতার চাহিদা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নিউমাকের্ট, শপিং কমপ্লেক্স, জলিল সুপার মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, ডাকবাংলা মোড়, শিববাড়ি এলাকা, চিত্রালী বাজার, হাউজিং বাজার, দৌলতপুর বাজারসহ প্রায় প্রতিটি মার্কেটে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। ক্রেতাদের ভিড়ে মার্কেটের দোকান গুলো ঠাসাঠাসি। যাদের মধ্যে নারী ও শিশু ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।
এবারের কেনাকাটায় নারী, শিশু এবং বিশেষ করে ফ্যাশন সচেতন তরুণীরাই সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে। সেই সঙ্গে পিছিয়ে নেই পুরুষ এবং তরুণরাও। ফ্যাশন হাউসগুলো এবার সর্বশেষ ফ্যাশনের পোশাক তুলে ধরছে ক্রেতাদের সামনে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মার্কেটগুলোতে পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পোশাকের দোকানগুলোতে বাহারি রং ও ডিজাইনের ছোঁয়া। ভারতীয় সিরিয়ালের বিভিন্ন চরিত্রের নামে পোশাকের কদর গতবারের চেয়ে অনেকটা কম। ব্যবসায়ীরা জানান, ছুটির দিনে কেনাকাটা করতে প্রচুর মানুষ আসছেন।
ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এভাবে ক্রেতার সংখ্যা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ তাদের।
নগরীর শিববাড়ী এলাকার দর্জি বাড়ির মিজানুর রহমান জানান, পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, ফতুয়া, গেঞ্জি এর চাহিদা রয়েছে। বিক্রিও বেড়েছে। এখানে ১০৯০ টাকা থেকে ২৬৯০ টাকা মূল্যের শার্ট, ১৪৯০ থেকে ১৮৯০ টাকা মূল্যের পাঞ্জাবী, ১৪৯০ থেকে ২৬৯০ টাকা মূল্যের গেঞ্জি, ৫৯০ থেকে ১২৯০ টাকা মূল্যের ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে।
নগরীর রেলওয়ে মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, এখানে শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণী ও বয়স্ক সকল ধরনের মানুষের পদচারণা বেড়েছে। ছুটির দিন থাকায় বিক্রিও বেড়েছে। এখানে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজারের উর্ধ্বে সকল শ্রেণীর মানুষের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া জুতা, স্যান্ডেলের দোকানগুলোতেও ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
জলিল মার্কেটের গোল্ডেন হাউজের প্রোপ্রাইটর শ্রীমন্ত অধিকারী বলেন, আধুনিক ডিজাইনের রুচিশীল বাহারি পোশাক পাওয়া যায় এখানে। নিত্য-নতুন ডিজাইন, কারুকাজ এবং কাপড়ের মান ভালো হওয়ায় ক্রেতারা আকৃষ্ট হয়ে এখানে আসছেন। যে কারণে বিক্রিও ভালো।
ছুটির দিনে কেনাকাটায় আসা কোনো কোনো ক্রেতা দাম বেশি রাখার অভিযোগ করেছেন। তাদের একজন নগরীর দৌলতপুর বাজারে পোশাক কিনতে আসা সোহাগ আসিফ। তিনি বলেন, দোকানিরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দাম রাখছেন। তারা ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিজাত মার্কেট মালিকরা বলেন, দোকানভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচ বেশি পড়ায় পোশাকের দাম একটু বেশি ধরা হয়। অন্যান্য মার্কেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করলে লোকসান হয়।