ফেরি রুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়ায় নাব্য সংকট চলছে ড্রেজিং, আসছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষের বড় ড্রেজার
তরিকুল ইসলাম সুমন: পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দেশের অন্যতম ফেরি রুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ এবং সহায়তা দিয়ে আসছে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, এবার ঈদ এসছে বর্ষা মৌসুম ও বৈরি আবহাওয়ার সময়ে।
দুদিনের ভারি বৃষ্টিপাত, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি ও ¯্রােতের তীব্রতার মধ্য দিয়েই ঈদে ঘরে ফেরা এবং ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসতে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের অন্যতম এ ফেরি রুট সচল রাখতে কাজ করছে। তিনি বলেন, গত দুই দিন ধরে পদ্মায় বেড়েছে ¯্রােতের গতিবেগ। আর ¯্রােতের সঙ্গে ভেসে আসছে পলিমাটি। এই পলিমাটি কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের চ্যানেল মুখে এসে জমা হয়ে তৈরি করছে নাব্য সংকট। তাই নাব্য সংকট প্রকট আকার ধারণ করার আগেই নৌরুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের বিকল্প চ্যানেলে ইতোমধ্যেই খননকাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এখানে বর্তমানে ৩ টি ড্রেজার কাজ করছে।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান আরা জানান, লৌহজং পয়েন্টে দিয়ে বিকল্প চ্যানেল করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। তবে এ জায়গায় ড্রেজিং করার জন্য বড় (৩০ ইঞ্চিমাপের) ধরণের ড্রেজার প্রয়োজন। সে ধরনের বড় ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএর নেই। রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছ থেকে এ ড্রেজার পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব কথা বলেছেন সেতু সচিবের সঙ্গে। সেতু সচিব আশ্বস দিয়েছেন শিমুলিয়া কাঁঠালবাড়ী ফেরি রুটের নাব্য সংকট মোকাবেলায় তারা তাদের বগু মাপের ড্রেজার দিয়ে সহায়তা করেবে। যাকে করে যাত্রীদের ঈদযাত্রা ব্যহত না হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগেই ঘরমুখো মানুষের ঢল নামবে এই নৌরুটে। যাত্রীদের চাপ মোকাবেলায় ইতোমধ্যেই প্রস্তত রয়েছে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটের নৌযানগুলো। নৌরুটটিতে ১৯টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও দুই শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, ঈদ-উল- আজহার পালনে যাওয়া যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘœ করতে আমরা কাজ করছি। পারাপারে আমাদের পর্যাপ্ত ফেরি সার্ভিস থাকবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান