ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে বিকন বাতি ও মার্কার সংকট
বরিশাল প্রতিনিধি: পর্যাপ্ত বয়া, বিকন বাতি ও মার্কার সংকট রয়েছে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে। পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূলে না থাকা ও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবোচর নির্ণয়ে সমস্যা হওয়ায় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন লঞ্চচালকরা। এ আশঙ্কার মধ্যেই পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে গতকাল বুধবার থেকে নৌপথে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে নারীর টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের যাত্রীরা। এ রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চালকদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের বরিশাল অংশের চরবাড়িয়া, চরমোনাই, ভাসানচর, হিজলা, কালীগঞ্জ হয়ে লালখারাবাদ পর্যন্ত একাধিক বাঁক এবং অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। এসবস্থানে প্রয়োজনীয় বিকন বাতি, বয়া বা মার্কা নেই। এছাড়া পটুয়াখালী থেকে ঢাকা রুটে বরিশাল অংশের নদীপথের শ্রীপুর ও দুর্গাপাশার চারটিস্থানে দীর্ঘদিন থেকে বিকন বাতি জ্বলে না। সুন্দরবন লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন বলেন, বরিশাল ও পটুয়াখালী থেকে ঢাকা নৌরুটে রাতের বেলা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো চলাচল করে। তাই পর্যাপ্ত বয়া, বিকন বাতি ও মার্কার প্রয়োজন। নতুবা ঈদ উপলক্ষে নতুন চালকরা যাত্রী বোঝাই নৌযান নিয়ে সংকেত চিহ্ন দেখতে না পেয়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। লঞ্চ মালিকরা জানান, নৌরুটের স্থানগুলো পরিদর্শন করে বয়া ও বিকন বাতি পর্যাপ্ত না থাকার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছে। সে অনুযায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশাল নৌরুটের মোটামুটি সবজায়গাতেই এসব রয়েছে। তবে মাঝে মাঝে বিকন বাতি চুরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। তবে ঈদের আগে সবজায়গায় পর্যাপ্ত মার্কা দেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, প্রথম শ্রেণির নদীপথ হওয়াতে এখানে সময় উপযোগী আরও আধুনিকমানের বয়া-বিকন মার্কা প্রতিস্থাপন করা হলে ঢাকা থেকে বরিশালগামী নৌযানের চলাচল সুগম হবে। সূত্রমতে, ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বরিশাল অংশের ৩৫ কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি বয়া, ৩৮টি মার্কা ও ১০টি বিকন বাতি রয়েছে।