‘শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন বিষয় সতর্কতার সঙ্গে হ্যান্ডেল করতে হবে আওয়ামী লীগকে’
আশিক রহমান : সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। তাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছেÑ তার সংগঠন। একটি রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে সাংগঠনিক শীথিলতা তৈরি হয়। ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্য জায়গায় জায়গায় আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বেশি হয়ে যায়, মনোনয়ন প্রত্যাশী মানুষও থাকেন অনেক বেশি। কিন্তু দল তো সবাইকে নমিনেশন দিতে পারবে না। ফলে যে বিদ্রোহগুলো হবে আগে তা যথাযথভাবে অনুধাবন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বড় কাজ হবে আওয়ামী লীগের জন্য সাংগঠনিকভাবে। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে মানুষ অনেক উপকার পেয়েছে। কারণ আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতি। কৃষি, শিল্প, খাদ্যে, স্বাস্থ্যে, শিক্ষায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রায় সবকিছুতেই আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নের সুফলভোগী তো জনতাই। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আয়ু বেড়েছে, স্বাস্থ্যসেবা অধিকতর উন্নত হয়েছে, খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। একথাগুলো অবশ্যই আওয়ামী লীগ বলতে হবে মানুষের কাছে। নির্বাচনের আগে নিশ্চয়ই একথাগুলো সামনে আসবে। তবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সরকারের শাসনামলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের জন্য কিছু করা। কারণ মানুষ উপকারের চেয়ে অপকার বেশি মনে রাখে।
তিনি আরও বলেন, ডেসটিনি গ্রুপে অনেক মানুষ বিনিয়োগ করেছিল, সেখানে বিশাল একটা গোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শেয়ারবাজার ধস, লাখো মানুষ সেখানেও ক্ষতিগ্রস্ত। এসব মানুষ সরকারের উপর নাখোশ, মনোকষ্টে আছে। অর্থ্যাৎ যারাই মনে করেন যে তারা বঞ্চিত হয়েছেন, সরকার তাদের বঞ্চিত করেছে, এ মানুষগুলোর বিষয়টি দেখতে হবে সরকারকে। এ ছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে যারা সত্যিকারের নিবেদিত প্রাণ, তাদের অনেককে মূল্যায়ন করা হয়নি। দেখা গেল হাইব্রিড বা অন্য দল থেকে আসা অথবা উঠতি পয়সাওয়ালারা বেশি গুরুত্ব পেয়ে গেছেÑ এ বিষয়গুলো যদি আওয়ামী লীগ সতর্কতার সঙ্গে হ্যান্ডেল করতে পারে নির্বাচনে খুব একটা সমস্যা হবে না বলেও মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।