নওগাঁয় মাদক ব্যবসায়ীদের কৌশল পরিবর্তন
আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ : সারাদেশের ন্যায় মাদকের নিয়ে নওগাঁয় বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার চলছে সাঁড়াশি অভিযান। তবে মূল হোতারা এখনও রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে মোবাইল ফোনে ব্যবসা পরিচালনা করছে। সেজন্য মাদক বিক্রিও বন্ধ হচ্ছে না। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। কৌশল পরিবর্তন করে নতুন পদ্ধতিতে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বল্প সময়ে মাদক ব্যবসা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ি, বাড়ি, সহায়-সম্পত্তি করায় নতুন করে জন্ম হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী। সাঁড়াশি অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীরা অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আবার অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা প্রায় প্রতিদিনই মাদক ব্যাবসায়ীদের আটক করছে। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর মাদক নির্মূল বিষয়ে একেবারেই নিষ্ক্রিয়। তবে সচেতনরা বলেছেন মাদক নির্মূল করতে হলে মাদকের গড ফাদারদের আটক করতে হবে। অন্যতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ ভেস্তে যাবে।
জেলা মাদকবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক ও র্কীত্তিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান বলেন, মাদকের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়। পুলিশের সাথে মাদকবিরোধী মাদকের কুফল নিয়ে বিভিন্ন সমাবেশ ও আলোচনা করা হয়। তবে প্রশাসন মাদক স¤্রাটদের এখনো গ্রেফতার করতে পারে নাই। লোক দেখানো দু’একজনকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তারা জামিনে বেরিয়ে এসে পুনরায় এ ব্যবসা করছে।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আছেন যারা মাদক ব্যবসাীয়দের আটক করে টাকার বিনিময়ে যেনতেন মামলা দেন। এতে করে কিছুদিন কারাভোগের পর ছাড়া পেয়ে আবারও ব্যবসা শুরু করে।
নওগাঁ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, অভিযান অব্যহত আছে।
মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক বিচরণ নেই। তাদেরকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছেনা। আমরা নতুন নতুন স্পট চিহ্নিত করছি। মাদক ব্যাবসায়ীদের নতুন কৌশলকে ধরার জন্য কিছু স্পেশাল ডাইভ ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ভাল ফলাফল পাচ্ছি। মাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জিরোটলান্সে ব্যাস্তবায়নে আমরা সর্বত্বক চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে কোন সুপারিশ গ্রহন করা হচ্ছে না
তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েকটি বড় বড় গাঁজার চালান ইতোমধ্যে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। যেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে বাহিরের জেলা কুমিল্লা ও ব্রাহ্মমবাড়িয়া থেকে। সেখানে আমাদের যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের আটক করার জন্য।
তবে পুলিশের কোন সদস্য যদি মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকে বা পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন ব্যক্তির দায় ডিপার্টমেন্ট নিবে না বিশেষ করে মাদকের দিকটা। সামান্যতম কোন ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই।