জেএমবি কাসেমের রায় ২৭ জুন
তপু সরকার হারুন, শেরপুর:শেরপুরে জেএমবির নব্য সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাবের (২২) বিরুদ্ধে বিচারাধীন চাঞ্চল্যকর বিস্ফোরক মামলায় যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ২৭ জুন রায়ের দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয় পক্ষের আইনগত ব্যাখ্যাসহ যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এম.এ নূর।
ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পিপি অ্যাডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক পদার্থের গোডাউনের সন্ধান এবং ওই গোডাউন থেকে নাইট্রিক এসিড, সালফারিক এসিড, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোমেথিনসহ বিস্ফোরক তৈরির প্রায় ৬শ লিটারের বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক তরল পদার্থ উদ্ধার করে পুলিশ। তৎকালীন পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনির নেতৃত্বে জেলা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা ও নজরদারির কারণেই ওই অভিযানটি সফল হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ওই ঘটনায় ৭ অক্টোবর নকলা থানায় গোডাউনের ভাড়াটে আবুল কাশেম (২২) ও ফয়েজ উদ্দিন (৩৩) এবং মালিক মিনারা বেগম (৩২)সহ স্বনামে ৩ জন ও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন জঙ্গীকে আসামী করে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫/৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড হয়। ওই মামলায় পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার হয় প্রধান আসামী আবুল কাশেমসহ সকল আসামী। পরবর্তীতে আদালতে আবুল কাশেম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুর রহমান তদন্ত শেষে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর একমাত্র আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এক পর্যায়ে কাকতালীয়ভাবে আবুল কাশেম জামিনে বেরিয়ে গেলেও ফের গ্রেফতার হয়ে ওই মামলায় হাজতে যায়। চলতি বছরের ৮ মার্চ ওই মামলায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বৃহস্পতিবার যুক্তিতর্কের শেষ দিনে আবুল কাশেমকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
এরপর আদালত অঙ্গনে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।