থেরেসাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্রিটিশ বাংলাদেশী আদালতের কাঠগড়ায়
সাইদুল ইসলাম: বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে হত্যা ও তার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট অফিসে আতœঘাতী হামলা করে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার অভিযোগে যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে বিচারের কাটগড়ায় দাড় করানো হয়েছে ২০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কট্টরপন্থী নাঈমুর জাকারিয়া রহমান। যাকে সন্ত্রাসবাদী কর্মকা-ের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রাক্বালে গত বছরের ২রা নভেম্বর গ্রেপ্তার করে বৃটিশ পুলিশ। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বের হওয়ার আগে তিনি ১০ নাম্বার ডাউনিং স্ট্রিটের নিরাপত্তা গেটে একটি বিস্ফোরণ বিস্ফোরিত করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়। গত মঙ্গলবার তার বিচারের প্রথম দিনে জুরি বোর্ডকে বলা হয়েছিল যে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে এম ১৫ নামে একটি বার্তা অপারেটরের মাধ্যমে সিরিয়ার আমির নামক এক ব্যাক্তির সাথে রহমানের হামলা সংক্রান্ত একটি মেসেজিং বার্তা আদান-প্রদান অনুসরণ করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যে বার্তায় হামলার চক কষা হচ্ছিল। উল্লেখ্য এম১৫ হচ্চে যুক্তরাজ্যের ডমেস্টিক কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি।
লন্ডনের ওল্ড বেইলে বিচারে এ বিষয়টিও জানানো হয় যে, গত বছর নভেম্বরে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে অভিযুক্ত রহমান হামলার মাত্র কয়েক দিন দূরে ছিলেন। রহমানকে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের প্রস্তুতি, অভিযানের প্রতিশ্রুতি, এবং বিস্ফোরক দ্বারা সজ্জিত একটি রাকসেক ও জ্যাকেটের অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া তিনি মোহাম্মদ ইমরান নামে ২২ বছর বয়সী অন্য এক যুবককে সিরিয়াতে আইএসের যোগদানের জন্য একটি স্পন্সরশিপ ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সাহায্যে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
এদিকে রানি এলিজাবেথকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাকিংহাম প্যালেসে তরবারি নিয়ে পুলিশের উপর জাপিয়ে পড়া আরেক বৃটিশ বাংলাদেশী মহিহাস সুন্নাত চৌধুরীরও একই সময়ে আদালতে বিচার চলছে। জঙ্গী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এই দুই অভিযুক্তের পরিচয়ের সঙ্গে বৃটিশ মিডিয়ায় বাংলাদেশী জাতীয়তা জুড়ে দিয়ে ফলাও করে প্রচার করছে।