‘বহুমাত্রিক অপরাধ দমনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটাতে হবে’
সুজন কৈরী: জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর পুলিশ প্রধানদের দ্বিতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী অপরাধের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। গতকাল শুক্রবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। আইজিপি বলেন, সহিংসতার ক্রম পরিবর্তনশীল রূপের প্রেক্ষাপটে অরক্ষিত মানুষকে রক্ষা করতে এবং অপরাধের বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌন হয়রানি ও অসদাচরণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশের সুদৃঢ় অবস্থান ও প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ পরিমার্জিত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। আইজিপি বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদেরকে প্রস্তুতি গ্রহণ এবং কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী জাতিসংঘভুক্ত দেশের পুলিশ প্রধানদের দ্বিতীয় সম্মেলনে গত ২১ জুন মূলপর্বের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। যক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে গত ২০ জুন দুদিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের পুলিশ বাহিনীর প্রধানদের এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন আইজিপি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ জুন বিকালে জাতিসংঘের ডেলিগেটস্ ডাইনিং রুমে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের পুলিশ প্রধানদের সম্মানে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ সম্মেলন শুরু হয়। ২১জুন ছিল এ সম্মেলনের মূল কর্মসূচি। ওইদিন সকাল পৌণে ১০টায় সাধারণ পরিষদ হলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশসদস্যসহ সকল নিহত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে সম্মেলনের মূল পর্বের সূচনা করা হয়।
.জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে আইজিপির বৈঠক:
আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গত ১৯ জুন জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশনের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া এবং জাতিসংঘের পুলিশ অ্যাডভাইজর লুইস ক্যারিলহোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সভায় জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তারা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের গঠনমূলক ও সৃজনশীল ভূমিকা এবং অব্যাহত অবদানের প্রশংসা করেন।