চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীরা ধর্মীয় লেবাসে তাদের মনোবাসনা চরিতার্থ করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম: পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বলেছেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতবাদ হচ্ছেÑ ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সকলের। ঈদ, পূজা, বৌদ্ধ পূর্ণিমা ও ক্রিসমাসসহ সব ধর্মের চর্চা ও উৎসব বাংলাদেশে হয়, যা পৃথিবীতে বিরল। বাংলাদেশের মানুষ সব ধর্মের উৎসবই পালন করে এবং সরকারি ছুটি ভোগ করে। গতকাল শুক্রবার ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ এবং সহিষ্ণু সমাজ গঠন: ধর্মীয় এবং সামাজিক নেতাদের করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে কর্মশালার আয়োজন করে সেভ অ্যান্ড সার্ভ ফাউন্ডেশন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক দফতরের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাডাডমা ডিং, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ব্যর্থ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কি হতে পারে ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমের এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে পরারষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উত্তেজিত হয়ে পরেন। কন্ঠে তুমুল ক্ষোভ নিয়ে বলেন, প্রত্যাবাসনতো এখনো শুরুই হলো না। এখনই এসব বলা যাবেনা। এ সময় তিনি বলেন, জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ মতে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সাম্প্রদায়িক উষ্কানি দেয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চেষ্টা চালাচ্ছে। সংকট রোধে সরকার ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করছে। এর ফলে, স্থানীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, কটূক্তি ও বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রীয় নীতির কারণে পৃথিবীতে আজ অনেক ক্ষুদ্র জাতিসত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। তাই এখন অন্তর্ভুক্তি, সহিষ্ণু ও সহাবস্থান সমাজ গঠনের দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমান বিশ্বে ধর্মীয় অসিষ্ণুতা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ে উস্কানি দেওয়ার ঘটনা দুভার্গবশত অনেক বেড়েছে। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনায় দেখা গেছে, ধর্মীয় চরমপন্থীরা ধর্মের নামে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। তখন থেকে বলা হচ্ছে, ধর্মই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করে। প্রকৃত অর্থে চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীরা ধর্মীয় লেবাসে তাদের মনোবাসনা চরিতার্থ করে।