বিশ্বকাপের বিজ্ঞাপনী পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চীনের ব্যয় ৮০ কোটি ডলার
লিহান লিমা: ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে চীনের দল না থাকলেও মাঠের বিজ্ঞাপনী লড়াইয়ে রাজত্ব করছে দেশটির কোম্পানিগুলো। বিশ্বের সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় এই খেলার ১২ আনুষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকের মধ্যে ৪টি-ই চীনের কোম্পানি। এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বৃহত্তর বিজ্ঞাপনী পৃষ্ঠপোষক দেশ হিসেবে চীনের কোম্পানিগুলোর ব্যয় ৮০ কোটি ডলার। এক সপ্তাহ আগে বিশ্বকাপের পর্দা নামার সময় ফুটবলাকৃতির মাঠে শোভা পাচ্ছিল এই কোম্পানিগুলোর লোগো, যার মধ্যে দৃষ্টি কেড়েছিল রোমান ও চাইনিজ হরফ। এর মধ্যে রয়েছে চীনের রিয়েল এটেস্ট কোম্পানি ‘ওয়ান্দা গ্রুপ’ এবং ডেইরি কোম্পানি ‘মেংনিয়ু’। তবে বেশিরভাগ দর্শক চীনের হরফের কারণে ওয়ান্দা ও মেংনিয়ুর বিজ্ঞাপন পড়তে পারে নি। এক্ষেত্রে চীনের গৃহস্থালী সামগ্রী নির্মাতা ‘হাইসেন্স’ এবং স্মার্টফোন কোম্পানি ‘ভিভো’ বেছে নেয় রোমান হরফ।
গত বছর হাইসেন্স ‘তোশিভা-টিভি’ কে কিনে নিয়ে বিদেশে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করেছে। এপ্রিলে কোম্পানিটি নতুন সাতটি মডেল বাজারে আনার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘ওয়াল্ড কাপ স্পেশাল এডিশন টিভি’। ওয়ান্দা সম্প্রতি একটি আমেরিকান সিনেমা চেইন, মাদ্রিদের একটি ফুটবল ক্লাব, হোটেল কিনে নিয়েছে। ওয়ান্দার মালিকানাধীন মিডিয়া কোম্পানি ইনফ্রন্ট মিডিয়ার হাতে রয়েছে এশিয়ার ২৬ দেশে ফিফার সম্প্রচার স্বত্ত্ব। এই ২৬ দেশে ২০১৮ এবং ২০২২ বিশ্বকাপ সম্প্রচার করবে কোম্পানিটি।
বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্পন্সর ছাড়াও চীনের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কোম্পানি ‘দাইকিং: লুচি’, ইলেকক্টিক স্কুটার মেকার ‘ইয়েদা’, নেমলি টিভি ও ফ্রিজ মেকার হেয়ানসে বিজ্ঞাপনের মাঠে নিজেদের প্রভাব দেখিয়েছে।
২০১৫ সালের মে মাসে ফিফার গভর্নিং বডির দূর্নীতির চিত্র প্রকাশিত হয়ে গেলে জনসন অ্যান্ড জনসন, ক্যাস্ট্রোল এবং কনন্টিনেন্টালের মতো বৃহৎ পৃষ্ঠপোষকরা ফিফার পাশ থেকে সরে আসে। এরপর থেকেই চীনের কোম্পানিগুলো ফিফার কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়। নিকেই এশিয়ান রিভিউ।