কুয়াকাটায় যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যটকদের গন্তব্যে ফেরায় ভোগান্তি
উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া(পটুয়াখালী) : পটর্যন কেন্দ্র কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের গন্তব্যে ফিরতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়ক ও নৌ-পথে যানবাহনে গুণতে হয়েছে দ্বিগুণ ও তার চেয়েও বেশী ভাড়া। একই অবস্থা ঘর থেকে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের। ঈদের ৫ দিন আগে থেকে শুরু হওয়া এ নৈরাজ্য চলছে ঈদ পরবর্তী ৮ দিন পর্যন্ত। গতকাল শনিবার ও তার আগের দিন শুক্রবার কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের সঙ্গে পরিবহনে টিটিক বুকিং’র সময় কাউন্টার ইনচার্জদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে বাকবিত-া হয়। এমন চিত্র প্রতিবেদকের নজরে আসলে সরেজমিন তদন্তে বেড়িয়ে আসে আরও অসংখ্য ঘটনা। পর্যটকরা ন্যায্যমূল্যে টিকিট পেতে হন্য হয়ে ঘুরতে থাকে এ কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে। কোথাও মেলে না ন্যায্যতা। ওই অসাধু ব্যবসায়ীরা টিকেটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। বাড়তি মূল্যের চেয়েও পরে আরো একধাপ বাড়তি মূল্য দিলে মিলে টিকিট।
জানা গেছে, এক শ্রেণির বাস মালিক-পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন ও কাউন্টার ইনচার্জরা সিন্ডিকেট করে কুয়াকাটা আগত পর্যটকদের জিম্মি করে ৪শ টাকার বাস ভাড়া আদায় ৮শ টাকা। জোড়াতালি দিয়ে নতুন করে একই ব্যানারে নামিয়েছে অসংখ্য নি¤œমানের বাস। একজন ড্রাইভার দিয়েই দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই বাস চালাচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহ জুড়ে এমন দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করবে তারা। বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে একটি পরিবহণের একজন কাউন্টার ইনচার্জ যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পরিবহণগুলো খালি এসে কুয়াকাটা থেকে যাত্রী নিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ক্ষতি পোষাতে বাড়তি ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে। এদিকে একটি বিলাস বহুল (এসি বাস) গাড়িগুলোও ৮শ টাকার ভাড়া এক হাজার টাকা করে আদায় করছে। কুয়াকাটায় আসা প্রতিটি পর্যটকের আসতে ও যেতে এবং ঘরে ফেরা যাত্রীদের কর্মস্থলে ফিরতে বাড়তি ভাড়া গুণতে হলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা। এ বিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ (চলতি) পরিদর্শক মো.মনিরুজ্জামান জানান, এসব বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে ঈদের আগে মিটিং হয়েছে।
বাস-নৌযান মালিক সমিতি নেতাদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাত্রীবাহী পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ নেই এমনটা দাবি করে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, এমন কোনো অভিযোগ তিনি ইতোমধ্যে পায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। এসব বিষয়ে খোঁজখবর নিবেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তানভীর রহমান।