কুলাউড়ায় সড়ক ভেঙে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বন্ধ
স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : সাম্প্রতিক বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়কের ৫ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। সড়কের আমতলা হতে চাতলা পর্যন্ত চেকপোস্টের ১০টি জায়গায় বড় বড় গর্ত ও রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে ১০দিন ধরে ভারতে সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি ও রফতানি বন্ধ রয়েছে ।
বর্তমানে যানচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীরা চরমদুর্ভোগে পড়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুরে এ পথে চলাচলকারী লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ১২ জুন দিবাগত রাত আড়াইটায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নে মনু নদের ৪টি স্থানের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রবেশ করা ঢলের পানিতে সঞ্জবপুর এলাকা থেকে চাতলাপুর চেকপোস্ট পর্যন্ত ৬কি.মি. সড়ক ৫ফুট পানিতে নিমজ্জিত ছিল। তেলিবিল ও বাঘাজুরা গ্রামে মনু নদের প্রতিরক্ষা বাঁধের দুটি ভাঙন দিয়ে বন্যার পানি দ্রুত গতিতে প্রবেশ করে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এ সড়কের কমপক্ষে ১৫টি স্থানের পিচ উঠে গেছে ও কালভার্ট ভেঙে ও সড়কের অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে। এ সড়কে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। মানুষজন পড়েছেন মহাবিপদে। একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়ে পড়েছে কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়ন। চাতলাপুর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা এসআই জামাল হোসেন জানান, প্রতিদিন গড়ে শতাধিক যাত্রী ভারত -বাংলাদেশে যাতায়াত করে। বন্যার পর গত১৩ জুন থেকে এ পথে কোন যাত্রী যাতায়াত করতে পারেনি। এখন সড়ক থেকে পানি নেমে গেলেও যারার পায়ে হেঁটে আসতে পারছেন তারাই ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করছেন।
দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে অন্তত ছোট যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা না করলে এ পথে দুই দেশে যাতায়াত প্রায় বন্ধ থাকবে। মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, চাতলাপুর সড়কটির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হচ্ছে। দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করে এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করার প্রচেষ্টা চলছে।