‘ভিএআর’ প্রযুক্তির সমালোচনায় মুখর বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলো
এম এ রাশেদ: এখন চলছে বিশ্বকাপের ২১তম আসর। গত ১৪ জুন সৌদি আরব ও স্বাগতিক রাশিয়া ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠেছে রাশিয়া বিশ্বকাপের। এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আলোচিত বিষয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি বা ভিএআর প্রযুক্তি। যেটি নিয়ে এমনিতেই সমালোচনায় মুখর বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলো। সেই বিতর্কে ঘি ঢেলেছে সুইজারল্যান্ড-সার্বিয়া ম্যাচে নেয়া রেফারির একটি সিদ্ধান্তও! জেরদান শাকিরির শেষ মিনিটের গোলে শুক্রবার রাতে সার্বিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে সুইজারল্যান্ড। অথচ ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিলে ফলটা অন্যরকমও হতে পারত দাবি সার্বিয়ার। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে অ্যালেক্সান্ডার মিত্রোভিচকে নিজেদের ডি-বক্সে ট্যাকল করেন দুই সুইস ডিফেন্ডার স্টেফান লিস্টাইনার ও ফেবিয়ান শাকার। সার্বিয়ার দাবি পরিষ্কার ফাউল ছিল সেটি। রিপ্লেও রায় দিচ্ছে সার্বদের পক্ষেই। অর্থাৎ, ফাউল হলে নিশ্চিত পেনাল্টি। কিন্তু রেফারি ওইসময় সেটি এড়িয়ে গেছেন সযতেœ। এমনকি সাহায্য নেননি প্রযুক্তিরও। রেফারির সাহায্য জন্য যে প্রযুক্তি তা কেনো ব্যবহার করলেন না তিনি, সেটি নিয়েই সার্বিয়ানদের যত ক্ষোভ। যদি ভিএআরের সাহায্যই নিতে না চান রেফারিরা, তবে কেনো তা রাখা হয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন সার্বিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়নের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাভো মিলোসাবিচের।‘মানলাম রেফারি ফাউলটা দেখেননি। তাহলে কেনো তিনি ভিএআরের সাহায্য নিলেন না? তাহলে এটা (ভিএআর) রাখারই বা দরকার কি? এইসব লোকগুলো(রেফারি) করছেটা কী? এক ম্যাচে দুইরকম সিদ্ধান্ত নেয়াটা খুব ক্ষতিকর। কারণ এটা বিশ্বকাপ!’