পাকিস্তান সীমান্তে বেড়া দিতে রাশিয়া থেকে ‘স্মার্ট ফেন্সিং’ প্রযুক্তি আনছে ভারত
সাউথএশিয়ান মনিটর : রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব পারমাণবিক শক্তি সংস্থা- রোজাটমের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান নিকিরেত ভারতের ‘কোর এনার্জি সিস্টেম’কে কম্প্রিহেন্সিভ ইনটিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইবিএমএস)’র মতো জটিল প্রযুক্তি সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে। ভারত সরকারের যে সিআইবিএমএস প্রকল্প রয়েছে সেখানে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
নিকিরেত-এর পরিচালক ভাদিম পারভুনিনকিশ এবং কোর এনার্জি সিস্টেমের চেয়ারম্যান ও এমডি নাগেশ বাসারকর এ ব্যাপারে একটি চুক্তিতে সই করেছেন।
বাসারকর বলেন, ‘ভারত সরকার জম্মু সীমান্তের ৫.৫ কি.মি. ও ৫.৩ কি.মি. দুটি অংশে দুটি পাইলট প্রকল্প চূড়ান্ত করার পর সেখানে সিআইবিএমএস বসানোর জন্য আমরা প্রতিযোগিতা করছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রকল্প চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি। পাইলট প্রকল্প শেষ হওয়ার পর পুরো ২৯০০ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া দিতে অক্টোবরে দরপত্র খোলা হতে পারে। আমরা রোজাটমের সাবসিডিয়ারির কাছ থেকে সেন্সর সংগ্রহ করেছি। সিআইবিএমএস হলো বহুসংখ্যক গ্যাটগেট ও সেন্সর প্রযুক্তির সমন্বয়। জল, স্থল বা আকাশে কোন ধরনের আলোড়ন উঠলেই তা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে সতর্ক করবে। কারিগরি সরঞ্জামের মধ্যে সেন্সর, ডিটেকটর, ক্যামেরা, স্থলভিত্তিক রাডার সিস্টেম, মাইক্রো-এরোস্ট্যাট, লেজারের পাশাপাশি ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালানোর মতো সরঞ্জামও থাকে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
কোর এনার্জি সিস্টেমের প্রধান নির্বাহী প্রণয় কুমার জানান, নিরিকেতের কাছ থেকে প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে ভারতে এই সিস্টেম তৈরি করা হবে।
কুমার মিডিয়াকে বলেন, সীমান্ত নিরাপদ এবং অনুপ্রবেশ চিহ্নিত ও সুরক্ষিত রাখার জন্য স্মার্ট ফেন্সিং প্রকল্প হলো সিআইবিএমএস। নিকিরেত-এর কারিগরি সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের সেন্সর আমদানির মাধ্যমে দেশে এই সিস্টেম তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হবে।
২০১২ সাল থেকেই সীমান্তে উচ্চ প্রযুক্তির বেড়া নির্মাণের কথা ভাবছে ভারত। তবে ২০১৬ সালে পাকিস্তান সীমান্ত এলাকায় একটি ভারতীয় সেনাশিবিরে সন্ত্রাসী হামলার আগে এই প্রস্তাব নিয়ে সরকার তেমন অগ্রসর হয়নি।
বেশ কিছু হামলার ঘটনা ঘটার পর নরেন্দ্র মোদি সরকার শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে ২৯০০ কিলোমিটার সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য পাঁচ স্তরের বিস্তারিত পরিকল্পনা অনুমেদন করে। অন্য পাশ থেকে কোন ধরনের অনুপ্রবেশের উপর নজর রাখতে সিসিটিভি ক্যামেরা, থার্মাল ইমেজ ও এনভিডি, বিএফএসআর, আন্ডারগ্রাউন্ড মনিটরিং সেন্সর ও লেজার বেরিয়ার স্থাপন করা হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ