দুই বছরেও জাতীয়করণ হয়নি ২৯৯ কলেজ
রিয়াজ হোসেন: প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পরও দুই বছরে জাতীয়করণ হয়নি ২৯৯ কলেজ। বিধি সংশোধনের নামে চলছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কালক্ষেপণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে অচলাবস্থা। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী’ প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সরকারি স্কুল ও কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল কলেজ সরকারিকরণের ঘোষণা দিয়েছে। সে লক্ষ্যে উপজেলার ভালো ও প্রাচীন কলেজ বাছাই করে গতবছরের মার্চ’ মাসে এসব কলেজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সরকারের নামে দানপত্র সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু দেড় বছর পার হওয়া সত্ত্বে¡ও এখনও এ কলেজগুলোর সরকারি আদেশ জারি হচ্ছে না।
২০১৬ সালে এ কলেজগুলোর ওপর নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় মারাত্মক শিক্ষক সংকটে ভুগছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে বিঘিœত হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান।
এদিকে প্রায় ১৫০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ অবসরে চলে গিয়েছেন। একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করে পরিচালিত হচ্ছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সদস্য ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, এ কলেজগুলোর দ্রুত সরকারি আদেশ জারি করা জরুরি। তিনি বলেন, অন্যথায় এসব কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
সরকারিকরণকৃত কলেজ শিক্ষক সমিতির অন্যতম শীর্ষ’ নেতা আ ন ম রিয়াজ উদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই শুভ উদ্যোগকে বানচাল করার অপচেষ্টা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তিনি বলেছেন, ডিড অব গিফট হওয়ার এত সময় পরও গেজেট জারি হচ্ছে না। ফলে হতাশায় ভুগছে এসব কলেজের শিক্ষক কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীরা। দেড় বছরেও নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর মোহাম্মদ সামছুল হুদা বলেন, সরকারিকরণ প্রক্রিয়া এটা একটা বিশাল ব্যাপার তবে বর্তমানে এটা গতিশীল পর্যায়ে রয়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এতদিন যারা নিয়োজিত ছিল তাদের প্রয়োজনীয় কর্ম যোগ্যতা ঠিকঠাক আছে কিনা তা সর্বশেষ যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। ক্যাডার-ননক্যাডার দ্বন্দ্ব সম্পর্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানলে উভয়ের বিরোধ মিটে যায়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কলেজগুলোতে নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারপর ক্যাডার সমিতি এ জাতীয় শিক্ষকদের নন ক্যাডার করার দাবিতে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে একটি মামলা দায়ের করেন। ক্যাডার ননক্যাডার দ্বন্দ্বে স্থবির হয়ে পড়ে জাতীয়করণের কার্যক্রম। সম্পাদনা: আনিস রহমান