সাগরে প্লাস্টিকের কারণে অভুক্ত সামুদ্রিক পাখি
ইফ্ফাত আরা: অতিরিক্ত প্লাস্টিক পরিবেশের উপর কিরূপ প্রভাব ফেলে তারই প্রতিফলন দেখার জন্য বিবিসি একটি প্রাম্যান্যচিত্র তৈরি করেছে। এ থেকে জানা যায়, লর্ড হোয়ে দ্বীপে প্লাস্টিকের কারণে অভুক্ত রয়েছে সামুদ্রিক পাখিরা। পাখিদের পাকস্থলী প্লাস্টিক দিয়ে পূর্ণ থাকার কারণে তারা কোনো খাদ্য গ্রহণ করতে পারছে না।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত লর্ড হোয়ে দ্বীপ। দ্বীপটিতে সামুদ্রিক পাখিদের জীবন বাঁচাতে জীববিজ্ঞানীরা কাজ করে যাচ্ছে। পাখির বাসা থেকে শ’খানিকেরও বেশি পাখির বাচ্চা উদ্ধার করে শারীরিকভাবে তাদের উদর থেকে প্লাস্টিক বের করে পুনরায় বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। শিয়ারওয়াটার উপনিবেশে কর্মরত সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী জেনিফার লাভের বলেন, “এই পাখিরা মূলত শিকারি পাখি। এরা যা দেখবে, যা দেয়া হবে তাই খাবে। তাই যখন কেউ সমুদ্রে প্লাস্টিক ফেলে তখন তারা সনাক্ত করতে পারেনা কোনটা প্লাস্টিক এবং কোনটা প্লাস্টিক নয়। তাই তারা সব খেয়ে ফেলে।”
বাবা-মা পাখিরা অনিচ্ছাকৃতভাবে তাদের ছানাদের এই প্লাস্টিক খাওয়াচ্ছে। পাখিরাও তাদের পাকস্থলী প্লাস্টিক দিয়ে পরিপূর্ণ রাখছে, এতে তারা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যার ফলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাখিদের। উদর থেকে প্লাস্টিক বের করার পদ্ধতির ব্যাপারে লাভের আরো জানান, “ যদি প্লাস্টিকের পরিমাণ খুব বেশি না হয় তাহলে পাখিদের কোনো প্রকার ক্ষতি না করে ‘লেভাজ’ নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পাকস্থলি থেকে আমরা প্লাস্টিক বের করি।” তিনি আরো জানান, “আমি এবং আমার সহকর্মীরা এমন অনেক পাখি পেয়েছেন যা সম্পূর্নই প্রতিরোধযোগ্য এবং চিকিৎসা করে এদের বাঁচার আরেকটি সুযোগ অবশ্যই দেয়া উচিত। আমরা অনেক পাখির উদর থেকে প্লাস্টিকের পোশাক, টুথ ব্রাশ ও এই রকম অন্যান্য জিনিস পাওয়া গেছে যা অ্যালুমিনিয়াম কিংবা কাঠের তৈরি। এমনকি আমার নিজের ব্রাশটাও কাঠের তৈরি।” বিবিসি