অবশেষে গ্রীক প্রধানমন্ত্রীর গলায় টাই!
আসিফুজ্জামান পৃথিল: অবশেষে গলায় টাই ঝুলালেন গ্রীক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস। গ্রিসের ঋণ সমস্যা সমাধানে ইউরোপের ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত উপলক্ষে দেয়া ভাষণে একটি মেরুন টাই গলায় ঝুলিয়ে হাজির হন তিনি। ২০১৫ সালে দ্বায়িত্বগ্রহণের পর এই প্রথম গলায় টাই পড়লেন সিপ্রাস। অ্যালেক্সিস সিপ্রাস শপথ করেিেছলেন, তার দেশের ঋণ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি টাই পরিধান করবেন না! অ্যালেক্সিস সিপ্রাস তার ইনফরমাল পোষাকের জন্য শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন। মজার ব্যাপার তার ইউরোপিয় প্রতিপক্ষরা প্রায়ই বিভিন্ন সফরে তাকে টাই উপহার দিয়েছেন। তাদের সকলকেই বিনয়ের সাথে সিপ্রাস জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দেশ ঋণমুক্ত হবার আগে তিনি টাই পড়তে আগ্রহী নন! বৃহষ্পতিবার লুক্সেমবার্গে ইউরোপের বাকি দেশগুলোর সাথে একটি চুক্তি হয় গ্রীসের। এই চুক্তিতেই বিশাল অংকের ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি দেয়া হয় দেশটিকে। বিশাল অংকের এই ঋণ শোধে আরো ১০ বছরের অতিরিক্ত সময় পাবে গ্রিস। এর জন্য আলাদাভাবে কোন সুদও দিতে হবে না। বর্তমানে জমা হওয়া সুদ পরিশোধে পরে আরো ১০ বছর অতিরিক্ত সময় পাবে দেশটি। আর ব্যয় মেটাতে সর্বশেষ চালানে ইউরোপিয় দেশগুলো আরো ১৫ বিলিয়ন ইউরো ঋণ দেবে গ্রীসকে। আইএমএফ এবং ইউরোপিয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে এই অর্থ পাবে গ্রিস।
গ্রীক টেলিভিশন ইআরটি সিপ্রাসের এই ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করে। তিনি এসময় কালো স্যুট, সাদা শার্ট এবং একটি মেরুণ টাই পরিধাণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কোন বাজি তখনই সম্মানিত হয় যখন সেটা জিতে নেয়া হয়। আমরা এই বাজি জিতে গেছি।’ এই চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের অর্থের প্রয়োজন পূরণে আগামী ২ বছরে আরো ২৪ বিলিয়ন ডলার পাবে ভূমধ্যসাগর তীরের দেশটি। এই সম্পর্কে উচ্চসিত ভাষায় সিপ্রাস বলেন, ‘গতকাল(শুক্রবার) আমরা একটি ঐতিহাসিক চুক্তি সই করেছি। এই চুক্তিটি আমাদের প্রতিবেশী অংশীদারদের নৈতিক দ্বায়িত্ব আর গত আট বছরের গ্রীক জনগনের ত্যাগকে প্রতিফলিত করে। এর ফলে ইউরোজোন একতাবদ্ধ থাকবে। এই দেশের জন্য একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচিত হলো। এর মানে এই নয় আমরা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার বন্ধ করে দেবো।
নিজের ভাষণের এক পর্যায়ে মজা করে নিজের টাইটি খুলে হাতে নেন গ্রীক প্রধানমন্ত্রী। এই টাইটি গত ৮ বছর গ্রিসের জনগনের কষ্টের প্রতিকই বলা যায়। এই সময়ে দেশটিকে কঠিন অর্থনৈতিক শর্তপূরণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। কৃচ্ছতার শিকার হয়েছে পরো দেশ। বেকারত্ব শিকার করে নিতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। সিনহুয়া