মার্ক শেয়ার কেলেঙ্কারী মামলার রায় আজ
ফয়সাল মেহেদী: বহুল আলোচিত মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির শেয়ার কেলেঙ্কারী মামলার রায় আজ রোবরার ঘোষণা করা হবে। এদিন শেয়ারবাজার সংক্রান্ত বিশেষ ট্রাইবুন্যালে মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন বিচারক আকবর আলী শেখ। ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ মামলার আসামিরা হলেন- মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাম মুলকুতুর রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল হাই ও পরিচালক সালমা আক্তার। আসামিদের মধ্যে ইমাম মুলকুতুর রহমান মারা গেছেন এবং বাকীরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তথ্যমতে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গত ১২ জুন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলাটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আর সর্বশেষ বৃহস্পতিবার মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ২৪ জুন দিন ধার্য করেন বিচারক।
এর আগে ৬ জুন মামলাটিতে সাক্ষ্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. এম.এ রশীদ সরকার, ৭ মে সাক্ষ্য দেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হেলালী ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহুরুল হক, ২ এপ্রিল সাক্ষ্য দেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহি পরিচালক এটিএম তারিকুজ্জামান।
এছাড়াও গত ৩ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য দেন বিএসইসির আরেক নির্বাহি পরিচালক ফরহাদ আহমেদ। তিনি মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো এমন ঠক ও প্রতারক কোম্পানি জীবনে কোনদিন দেখেননি বলে সাক্ষ্য দেন। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারে ধসের জন্য যে কয়টি কোম্পানি দায়ী, মার্ক বাংলাদেশ তারমধ্যে প্রথম সারির বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, মার্ক বাংলাদেশের স্থায়ী সম্পদের বাজার মূল্য বেশি দেখিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে কোম্পানিটির শেয়ার ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
জানা গেছে, বিএসইসির উপ-পরিচালক এএসএম মাহমুদুল হাসান ও সাবেক উপ-পরিচালক শুভ্রকান্তি চৌধুরীও মামলাটিতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের শেয়ার কারসাজির দায়ে ২০০০ সালে মার্ক বাংলাদেশ শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষে সিকিউরিটিজ অধ্যাদেশ এর ২৫ ধারায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বিএসইসির তৎকালীন উপপরিচালক আহমেদ হোসেন। সেখানে মামলাটির নম্বর ছিল ১৩৬৪/২০০০। ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সিএমএম আদালত থেকে মামলাটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হলে যার নম্বর দেওয়া হয় ৩/১৬।