ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি
সাইফুল ইসলাম প্রবাল, ঠাকুরগাঁও : মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার সংবাদ প্রকাশ করতে চাওয়ায় সংবাদকর্মীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ঐ ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা বিওপির বিজিবি গত বুধবার ফেনসিডিলসহ স্বাধীন চন্দ্র রায় নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। পরে বৈরচুনা ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন ঐ মাদক ব্যবসায়ীকে বিজিবির কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়।
বৃহস্পতিবার দৈনিক খবরপত্রের ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ প্রতিনিধি মুনসুর আহম্মেদ ওই ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট ঘটনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ঘটনাটি স্বীকার করেন এবং সংবাদ না করার জন্য বলেন। এ সময় তিনি জানান ১ বোতল ফেনসিডিলসহ স্বাধীন চন্দ্রকে আটক করে বিজিবি। মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়ালেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই সংবাদকর্মী বৈরচুনা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দীন তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে তাকে ঘিরে ফেলে। এ সময় তাকে টানা হেঁচড়া করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, মটরসাইকেলের চাবিসহ সংগে থাকা কাগজপত্র কেড়ে নেয়। পরে সংবাদকর্মী মুনসুর আহম্মেদকে ওই চেয়ারম্যান তার ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ও মোটরসাইকেলের চাবি ফেরত দেন । বৈরচুনা ইউপি চেয়ারম্যান জালালউদ্দীন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল ওই সংবাদকর্মী । এতে এলাকার লোক তার ওপর ক্ষেপে গেলে আমি তাকে সেখান থেকে বাঁচাতে সহযোগিতা করি।
অন্যদিকে ফেনসিডিলসহ এক ব্যক্তিকে আটকের ঘটনা আমি শুনেছি। তাকে ছেড়ে দেওয়া না দেওয়া বিজিবির ব্যাপার। পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামান বলেন, মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে বৈরচুনা এলাকার সংখ্যালঘু অদিবাসীদের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ঐ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। এ মামলায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দিলে সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।