এবার পাকিস্তানের গুরুদুয়ারায় ভারতের দূতকে ঢুকতে শিখদের বাধা
ইফ্ফাত আরা: ভারতীয় দূত অজয় বিশারা এবং তার স্ত্রীকে শনিবার পাকিস্তানের হাসান আবদাল শহরের গুরুদুয়ারা পাঞ্জা সাহিবে প্রবেশ করতে দিলেন না পাকিস্তানি শিখরা। মূলত শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানাক দেব জি এবং নানাক শাহ ফকিরের জীবন ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত সিনেমার মুক্তির এবং ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের খালিস্তান আন্দোলনের রায়ের জন্যই এ রাগের বহিঃপ্রকাশ। ভারতীয় এ দূত ভ্রমণরত তীর্থযাত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে গুরুদুয়ারা পাঞ্জা সাহিবে তীর্থযাত্রীদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ ঘটনাকে নিশ্চিত করে পাকিস্তান শিখ গুরুদুয়ারা পারবানধাক কমিটি (পিএসজিপিসি) এবং উদ্বাস্তু ট্রাস্ট প্রোপার্টি বোর্ডের (ইটিপিবি) কর্মকর্তা জানায়, বিশারিয়া এবং তার স্ত্রী গুরুদুয়ারায় সিজদা করতে চেয়েছিলেন এবং পাকিস্তানে ভ্রমণরত শিখ তীর্থযাত্রীদের সাথে দেখা করার কথা বলেছিলেন। তবে তারা গুরুদুয়ারায় পৌঁছানোর সময়েই শিখ তীর্থযাত্রীদের আন্দোলন শুরু হয়েছে যার কারণে প্রবেশ করতে দেয়া হয়না। কর্মকর্তারা আরো জানান, শিখ ধর্মাবলম্বীরা যখন বৈশাখি উৎসব উদযাপন করে অর্থাৎ ১৩ই এপ্রিল বিতর্কিত এ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। ইটিপিবি কর্মকর্তারা আরো বলেন, গুরুদুয়ারায় জনগণের এ বিবাদের ভয়েই তারা বিশারিয়া এবং তার স্ত্রীকে গুরুদুয়ারায় পরিদর্শন না করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। সিনেমার প্রতিবাদে অন্যান্য দেশের শিখরাও গুরুদুয়ারায় ভারতীয় দূতের প্রবেশে বিরোধ জানান। পিএসজিপিসির সদস্য সরদার বিষন সিং বলেন, সিনেমাটি শিখ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। পিএসজিপিসির আরেক সদস্য সরদার সাহিব সিং বলেন, শিখ সম্প্রদায়ের এ প্রতিবাদের সময় ভারতীয় দূতের গুরুদুয়ারায় প্রবেশ না করে বরং ভারতীয় সরকারকে সিনেমাটি ব্যান করার ব্যাপারে চাপ দেয়া উচিত ছিলো। সিনেমাটিতে শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানাক দেবের জীবন ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রচিত হয়েছে যা কোনোভাবেই শিখ সম্প্রদায়কে তুলে ধরেনা।
প্রসঙ্গত, ধর্মানুভূতিতে আঘাত পাওয়ায় পাকিস্তানের হাসান আবদালের গুরুদুয়ারা পাঞ্জা সাহিবে মুক্তি হওয়া বিতর্কিত সিনেমাটির প্রতিবাদে ১৫ এপ্রিল থেকে শিখ সম্প্রদায়ের বিশাল সংখ্যক জনগোষ্ঠী নিয়ে আন্দোলন করে। ডন