কুরআন তেলাওয়াত নিয়ে সমালোচনাকারীদের ‘মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট’ দরকার: নাবিল মালুল
স্পোর্টস ডেস্ক: কোনো কাজের আগে মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তা চেয়ে দু’হাত তুললেও দোষ? অপরাধ হয়ে যায় বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলতে নামার আগে লকার রুমে খেলোয়াড়দের নিয়ে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করলেও? এমনটা যারা মনে করেন; তার এবং দলের এমন কাজের যারা সমালোচনা করেছেন তাদের ‘মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট’ দরকার বলে মনে করেন তিউনিসিয়ার কোচ নাবিল মালুল। সমালোচকদের এজন্য বেশ একহাত নিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রচালিত টেলিভিশনে তার সমালোচনা করেছেন যারা তাদের উদ্দেশ্যে কঠোর ভাষাতেই কোচ নাবিল বলেছেন, ‘এই সমালোচনার জবাবে আমি একটা কথা বলতে চাই…যারা ফাতিহা পাঠের জন্য আমার সমালোচনা করছেন তাদের আসলে নিজেদের স্বার্থেই মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট দরকার।’ ফাতিহা মুসলমানদের ঐশ্বরিক ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের প্রথম সুরা, ক্রম অনুযায়ী। এই কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচ নাবিল তাদের শিক্ষা এবং বিশ্বাসের কথা তুলে ধরেছেন। এবং সুরা ফাতিহার প্রয়োজনীয়তার কথাও যারা জানেন না তাদের জন্য উল্লেখ করে দিয়েছেন। তার ভাষায়, ‘আমরা কুরআন এবং সুরা ফাতিহার সাথেই বেড়ে উঠেছি। স্কুলে আমাদের পরীক্ষা থাকলে মায়েরা আমাদের জন্য এই সুরা পড়তেন। আমাদের সব প্রার্থনার মাঝেই ফাতিহা আছে, শুরু থেকে শেষ সবকিছুর মাঝে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রাশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগের ঘটনা। একটি ভিডিওতে দেখা যায় কোচ নাবিল খেলার আগে লকার রুমে তার সব খেলোয়াড় ও স্টাফদের নিয়ে হাত তুলেছেন। তারা কুরআন থেকে সুরা ফাতিহা পাঠ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নানা কথা হয়েছে। মুকতার আল-হালফাবি নামের স্থানীয় এক মিডিয়া পন্ডিত তিউনিসিয়ার ওই ম্যাচ হারের পর তীব্র সমালোচনা করেন। সেই সাথে বলেন, এই ধরনের ধর্মীয় আচরণ আসলে ‘জাদুবিদ্যা ও কুসংস্কার’ এর উপর বিশ্বাস। টানা দুই ম্যাচে হারা তিউনিসিয়ার বিশ্বকাপ মিশন এখন শেষের পথে প্রায়। সূত্র : ইকনা