মহাকাশে স্যাটেলাইট এবং স্পেসশিপ নির্মান করবে ভাসমান রোবট
আসিফুজ্জামান পৃথিল : এবার মহাকাশেই ভাসমান রোবট দ্বারা স্যাটেলাইট এবং মহাকাশযান তৈরীর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যাবহার করে এই রোবট শূন্যে ভাসমান অবস্থায় এইসব যন্ত্রপাতি নির্মান করবে। এই রোবটটি নির্মান করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান মেড ইন স্পেস। তারা মনে করছে ভবিষ্যতে মহাকাশ কলোনি স্থাপনে এই রোবট মূখ্য ভূমিকা পালন করবে।
নির্মিতব্য এই রোবটের নাম আর্কিনট। এই ভাসমান কারখানায় ভবিষ্যতে শূন্যেই ভারী যন্ত্রাংশ বানানো সম্ভব হবে। এমনকি কক্ষ্যপথেই বানানো যাবে পূর্ণাঙ্গ স্যাটেলাইট। আর্কিটনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল আকারের থ্রি-ডি প্রিন্টার থাকবে। প্রিন্টিং উপাদান হিসেবে থাকবে প্লাস্টিক এবং অ্যালয়। যন্ত্রাংশ সংযোজনের জন্য থাকবে বড় আকারের রোবটিক আর্ম। এরফলে রোবটটি কোন মানুষের সাহায্য ছাড়াই যন্ত্রাংশ প্রিন্ট এবং সংযোজন করতে পারবে। মহাকাশে বন্ধুর আবহাওয়া যেমন চন্দ্রঝড় কিংবা অতি উচ্চ তাপমাত্রাতেও কার্যক্ষম থাকবে। মেড ইন স্পেস এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যারন কেমার সিএনবিসিকে জানিয়েছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে তারা আর্কিনটকে উৎক্ষেপন করে মহাকাশেই যন্ত্রপাতি তৈরি শুরু করতে পারবেন। আর্কিনট এর প্রজেক্ট ম্যাজোর এরিক জয়েস জানিয়েছেন রোবটটি নভোচারিদের মহাকাশযান মেরামতে সহায়তা করতে পারবেন।
কোম্পানিটি অর্কিনটের দ্বারা কক্ষপথেই পূর্ণাঙ্গ মহাকাশযান নির্মান করার লক্ষ্যস্থির করেছে। এর ফলে চাঁদ এবং মঙ্গলে অভিযান চালানো আরো সহজ হবে। স্পেস অ্যান্জেলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বিনিয়োগকারীরাও প্রতিনিয়ত মহাকাশ কোম্পানিতে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর বেসরকারি কোম্পানিগুলোতে ৩শ’ ৯০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ করা হয়েছে। মরগান স্ট্যানলি জানিয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে বানিজ্যিক মহাকাশ ব্যাবসা ৩ গুণ বৃদ্ধি পাবে। – সিএনবিসি