এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে যাবে তেজগাঁও ডিম আড়তের উপর দিয়ে, শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা
রকু আমির: নির্মাণাধীন এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের একটি অংশ যাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তিতে গড়ে উঠা তেজগাঁও ডিম আড়তের উপর দিয়ে। এজন্য বর্তমান দোকানপাট উচ্ছেদ করা হবে বলে ব্যবসায়ীদের মন খারাপ।
১৯৯৯ সাল থেকে এখানে ব্যবসায় করে আসা ডিম ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ রোববার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, কী করব বলেন। জায়গাটাতো পুরান, সবাই চেনে-জানে। এ জায়গা ছাড়তে অনেক কষ্ট হবে, লোকসানও গুণতে হবে।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির তথ্য অনুযায়ী- বর্তমানে তেজগাঁও আড়তে প্রায় ৫০ জন পাইকারি ব্যবসায়ী আছেন। খুচরা দোকান আছে ২০-২৫টি। প্রতিদিন এখানে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ডিম পাইকারি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ওই এলাকায় শুধুমাত্র ডিমের আড়তই নয়, মুরগি, কলাসহ বিভিন্ন ফলমূলের বিশাল আড়তও আছে। এসবও উচ্ছেদ করা হবে। এখন কে, কোথায় বসবেন, কীভাবে ব্যবসায় করবেন, তা নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকাধীন বিশাল জায়গা জুড়ে ওইসব ব্যবসায় চলছে কয়েক যুগ ধরে। কেউ সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ দখল করে ব্যবসায় করছেন। কেউবা অবৈধভাবে দখলদারের কাছ থেকে জায়গা কিনে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন, দখলদারের কাছ থেকে সরাসরি দোকান ভাড়াও নিয়েছেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী।
এলিভেটেড এক্সপেস ওয়ে প্রকল্প সূত্র জানায়, অচিরেই এই জায়গার সবকিছু উচ্ছেদ করা হবে। যদিও এখনও সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি। এই জায়গায় বেশকিছু পিলার বসানোসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করা হবে। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছেন- বেশ কয়েকবার উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত উচ্ছেদ করা হয়নি।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির নেতা নাসির উদ্দিন বলেন, উচ্ছেদ করা হবে এটা একেবারে খাঁটি সত্য। এজন্য আমরা যার যার মতন করে নতুন জায়গা দেখছি বর্তমান স্থানের আশপাশেই। অনেকে নতুন জায়গা করেও নিয়েছেন। কিন্তু পুরান জায়গায় ব্যবসায় ভাল হবে- এমন বিশ্বাস থেকে এখনও স্থানান্তর হননি।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে জায়গা তো ছেড়েই দেব। তবে আমাদের যেন সময় দেয়া হয়।