৯০ বিলিয়ন ডলার যোগ হবে সৌদি অর্থনীতিতে
নূর মাজিদ: সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি রাজ পরিবারের সবচাইতে প্রভাবশালী এবং আলোচিত ব্যক্তিত্বের নাম ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সংক্ষেপে পশ্চিমা গণমাধ্যম তাকে এমবিএস বলেও সম্বোধন করে। ক্রাউন প্রিন্সের এমনই আরেকটি সিদ্ধান্ত হলো দেশটির নারীদের গাড়ি চালাবার অনুমতি দেবার বিষয়টি । এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ফলে সর্বশেষ দেশ হিসেবে নারীদের গাড়ি চালাবার অনুমতি দিলো সৌদি আরব। তবে শুধু সামাজিক সংস্কারের উদ্দেশ্যেই এমনটি করা হয়েছে এমনটি মানতে নারাজ অনেকেই। মার্কিন অর্থনৈতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ তাদের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানায়, এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী এক দশকে অসংখ্য সৌদি নারী দেশটির অর্থনৈতিক কর্মকা-ে নিজেদের সরাসরি সম্পৃক্ত করতে পারবেন। ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশটির অর্থনীতিতে আরো ৯০ বিলিয়ন বা ৯ হাজার কোটি ডলার সংযুক্ত হবে।
এই পরিমাণ অর্থ সৌদি-মার্কিন তেল কোম্পানি আরামকোর আইপিও থেকে জে অর্থ আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার প্রায় সমান। আরামকোর ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রয় থেকে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করবে সৌদি সরকার।
মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জাইদ দাউদ জানান, এখন থেকে অধিক সংখ্যক নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবেন, ‘ফলে দেশটিতে দক্ষ শ্রমশক্তি এবং উপার্জন স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে।’ তবে এসময় তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক এই সিদ্ধান্তের অর্থনৈতিক সুফল পেতে সৌদি আরবকে ধৈর্য ধারন করতে হবে। এখানে সময়ের সঙ্গেসঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকা-ে নারীদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বাভাবিক হবার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি জানান।
এদিকে ভিয়েনায় সৌদি জ্বালানী সম্পদ মন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ’ও একই কথা বলেছেন। ওপেক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নের পথ সুগম করবে। এখন থেকে তারা খুব সহজেই নিজেদের কর্মস্থলে যাতায়াত করতে পারবেন। ফলে আমাদের শ্রম বাজারে বাৎসরিক ৭০ হাজার নারী প্রবেশ করবেন। তেল বিক্রয়ের উপর নির্ভরশীলতা কমানো এবং দক্ষ জনশক্তির অর্থনীতি তৈরির যে পরিকল্পনা যুবরাজ সালমান করেছেন তার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলেও সৌদি জ্বালানীমন্ত্রী জানান। ব্লুমবার্গ