চীন না কিনলে ১০ কোটি টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমবে বছরে
রাশিদ রিয়াজ : বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানিকারক দেশ এধরনের পণ্য আর না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৭ সালে। বছরে অন্তত ১০ কোটি ৬০ লাখ টন পুরনো পলিথিন ব্যাগ, বোতল, কনটেইনারসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করেছে দেশটি। ২০৩০ সাল নাগাদ প্লাস্টিক বর্জ্য দাঁড়াবে ১১১ মিলিয়ন টন। ইউনিভার্সিটির অব জর্জিয়ার গবেষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই প্লাস্টিক বর্জ্যরে কি হবে তা নিয়ে।
প্রতি বছর শুধু বিশ্বের বিভিন্ন কারখানা থেকেই ৮.৩ বিলিয়ন মেট্রিক টন প্লাস্টিক বাজারে যায়। বছরে ৭’শ মিলিয়ন আইফোন বাজারে আসে। এধরনের প্লাস্টিক পণ্যের চার-পঞ্চমাংশ মাটিতে বা পরিবেশে ছুড়ে ফেলা হয়। এধরনের আরো কয়েক মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সাগরে যায় যা প্রতিনিয়ত মাটি ও পানিকে বিষাক্ত করে তুলছে। উৎপাদিত প্লাস্টিকের মাত্র ৯ ভাগ রিসাইক্লিং হয়। ২০১৬ সালে চীন ৭৪ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং করে।
ভারত, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়া প্লাস্টিক বর্জ্য নিলেও চীনের তুলনায় তা সামান্য। ভিয়েতনাম সম্প্রতি এধরনের প্লাস্টিক আমদানি বন্ধ করেছে। ৫০’এর দশক থেকে বিশ্বে প্লাস্টিক উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। ওই বছর বিশ্বে ২০ লাখ টন প্লাস্টিক উৎপাদন হলেও ২০১৫ সালে তা দাঁড়ায় ৩২ কোটি ২০ লাখ টনে। যে হারে বিশ্বে প্লাস্টিক উকৎপাদন হচ্ছে তার সামান্যই রিসাইক্লিং করার ক্ষমতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও কৌশল নির্ধারণের তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্লুমবার্গ