চলতি মৌসুমে সরকারি চিনি বিক্রি ৫৮ হাজার মে.টন
আদম মালেক: ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও আখের অভাবে চলতি মৌসুমে বাংলাদেশে খাদ্য ও চিনিকল করপোরেশন চিনি উৎপাদন করেছে মাত্র ৬৯ হাজার মেট্রিক টন। বিক্রি হয়েছে ৫৮ হাজার মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চিনি আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বিক্রি হবে বলে আশা করছে খাদ্য ও চিনিকল কর্পোরেশন। বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনিকল করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, দেশে চিনির চাহিদা বছরে ১৪ লাখ টন। । সিংহভাগ চিনিই আমদানি হয়। উৎপাদিত হয় চাহিদার তুলনায় অনেক কম। তারপরও রাষ্ট্রায়াত্ত কলের চিনি অবিক্রীত রয়ে যাচ্ছে।
সূত্র জানা যায়, সরকারী চিনি বিক্রি করার জন্য প্রায় ৪ হাজার ডিলার রয়েছে। কিন্তু ডিলাররা সরকারী মিল থেকে চিনি কনেন না। এজন্য ১৫টি চিনিকল ও রাজধানীর চিনিশিল্প ভবন থেকে সরাসরি চিনি বিক্রি করা হয়। অনেক সময় বিক্রয় প্রতিনিধিরা করপোরেশনের পরিবহনে বড় বড় দোকানে চিনি পৌঁছে দিয়ে আসে। ১৫টি কলে চিনি উৎপাদিত হলেও চিনির প্যাকেটের নমুনা একই রকম। এজন্য রাষ্ট্রায়াত্ত্ব চিনি ভোক্তারা চিনতে তেমন অসুবিধা হয় না। বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনিকল করপোরেশনের প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা আবদুর রশীদ বলেন, ডিলাররা আমাদের কাছ থেকে চিনি নেয় না। কিন্তু চিনি বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি বাড়ানোর জন্য আমরা যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সাড়াও পাচ্ছি।
কারওয়ানবাজার কিচেন মার্কেট চৌধুরী জেনারেল স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী মোশারফ চৌধুরী জানান, আমরা দেশি ও বিদেশি চিনি বিক্রি করি। দেশি চিনির দাম কম তাই গ্রাহকের আগ্রহ বেশি। দেশি চিনি স্বাস্থ্যসম্মত। দাম বেশি হলেও অনেক গ্রাহক এই চিনি কিনে।
চিনিশিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ বিশে^র সেরা ও মানসম্পন্ন চিনি উৎপাদন করছে। কাঁচামালের সংকটসহ নানা কারণে এ সংস্থাটি চাহিদার তুলনায় চিনি উৎপাদন করতে পারছে না। এমতাবস্থায় বর্তমান সরকার গত চার বছরে তিনবার আখের দাম বাড়িয়েছে। আখ সংকটের কারণে চিনিকলগুলো বেশি দিন চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। এই সুযোগ নিচ্ছে বেসরকারি আমদানিকারকও ৫-৬টি পরিশোধনকারী মিল মালিক। তারা চিনির নামে বাংলাদেশের জনগণকে ‘বিষ’ খাওয়া্েচছ। আর দু’হাত ভরে মুনাফা লুটে নিচ্ছে। অপরদিকে ভোক্তা সাধারণ না জেনেই বেশি দাম দিয়ে ‘বিষ’ খেয়ে যাচ্ছে।