কতিপয় পণ্যের ওপর কর হ্রাস-বৃদ্ধি করে অর্র্থবিল-২০১৮ পাস
আনিস রহমান: প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনী এনে গতকাল বুধবার সংসদে পাস হয়েছে অর্থবিল ২০১৮। সংসদে ও সংসদের বাইরে বাজেটের কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ অনুযায়ী এসব সংশোধনীর প্রস্তাব আনেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস করা হয়। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পাস হবে।
অর্থবিলে আনা সংশোধনী অনুযায়ী ইন্টারনেট সেবা ও মোবাইল ফোন সংযোজন শিল্পের ওপর ভ্যাট কমবে। এছাড়াও শুল্ক কমবে কম্পিউটার যন্ত্রাংশের আমদানির ওপরে। তবে শুল্ক বাড়বে কম দামি সিগারেটের ওপর।
বাজেট আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের কোনও বিষয় নিয়ে তেমন কোনও সমালোচনা হয়নি। এ বাজেটকে সর্বস্তরের মানুষ গ্রহণ করেছে। এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এজন্য স্টক মার্কেটের উন্নয়নে নেওয়া কিছু পদক্ষেপও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে, অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সংসদে ও সংসদের বাইরে অর্থনীতিবিদরাসহ বিভিন্ন সংগঠন ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা করেছেন। এতে এ কথা বলা যায় বাজেটের প্রতি মানুষের আগ্রহ ক্রমাগত বাড়ছে।
এর আগে সংসদে বাজেটের ওপর বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, দেশে কাক্সিক্ষত হারে বিনিয়োগ হচ্ছে না। কর্মসংস্থানেও ধীরগতি। এদিকে নজর দেওয়ার জন্য অর্থমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ ও বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর পরামর্শ দেন রওশন এরশাদ। অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি কেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চান? আমরা তো আপনাকে হারাতে চাই না। সংসদে টানা ১০ বার বাজেট দেওয়ায় অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে আবারও অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আহ্বান জানান তিনি।
বাজেটের ওপর আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বেগন শিরিন নাঈম, বেগম আমাতুল কিবরিয়া কেয়া, মোহামম্মদ আমাউল্লাহ, মো.ছলিম উদ্দীন তরফদার, নুরুল মজিদ হুমায়ুন, ইকবালুর রহিম, জয়া সেনগুপ্ত, হোসনে আরা লুতফা, মো.মুজিবুল হক ও আ স ম ফিরোজ।