আরেকটি আঞ্চলিক ফোরাম গঠনের উদ্যোগ চীনের
সাউথএশিয়ান মনিটর : চীনের ইউনান প্রদেশে গত ১৫ জুন যাত্রা শুরু করেছে ‘চায়না-সাউথ এশিয়া কোঅপারেশন ফোরাম’ (সিএসএসিএফ)। খবরটি ভারতের প্রচার মাধ্যমে তেমন গুরুত্ব পায়নি। তবে গুয়াংজুর ভারতীয় কনসাল জেনারেল সৈলাশ থাঙ্গল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এখনো অনুচ্চারিত যে প্রশ্নটি সামনে চলে এসেছে তা হলো বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)-এর পাশাপাশি চীনের নতুন এই উদ্যোগ কি দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)’র মৃত্যু ডেকে আনবে। চীনকে সার্কের পূর্ণ সদস্যপদ দেয়া হয়নি, পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনান প্রদেশের পররাষ্ট্র দফতরের মহাপরিচালক লি জিমিং বলেন, ‘দুই পক্ষের প্রয়োজনেই চীন ও দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন এবং এই ফোরাম এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করবে। সিএসএসিএফ-কে বিআরআই’র অংশ বলেও ঘোষণা করেন তিনি, যা ‘চীনের সঙ্গে ভৌগলিক নৈকট্য ও সাংস্কৃতিক কুটুম্বিতা থাকা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে কাছাকাছি আনবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রীলংকার আইল্যান্ড পত্রিকার প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে লি বিদেশে চীনের বিনিয়োগ ‘ঋণ ফাঁদ’ তৈরির কথা অস্বীকার করেন। অনেক পর্যালোচনা করে শুধু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই ঋণ দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
বিলাসবহুল ফুজিয়ান লেক হিলটন হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভুটান ছাড়া সার্ক দেশগুলো: আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা থেকে চারশ’র বেশি মন্ত্রী, সিনিয়র কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরে মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম থেকেও অতিথি ছিলেন। প্রত্যেক দেশের বক্তা চীন ও দক্ষিণ এশিয়াকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে সিএসএসিএফ গঠনের প্রশংসা করেন। এটি সিএসএসিএফ-এর প্রথম বৈঠক। তবে এখন থেকে পাঁচ বছর পর আরেকটি চায়না-সাউথ এশিয়া এক্সপো’র পরিকল্পনা করেছে বেইজিং। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ