হজ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী ইসলামের নামে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না শনিবার থেকে হজ ফ্লাইট শুরু
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ধর্মের শিক্ষা মানুষের কাছে যেন উচ্চ আসনে থাকে সেটা প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু কিছু লোক নিজস্ব স্বার্থে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের জন্য, সমগ্র মুুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। কিছু মানুষ আমাদের ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কিছু কিছু মানুষের জন্য সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অধিকার কারও নেই। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে বিমানবন্দর আশকোনা হজক্যাম্প এলাকায় ‘হজ কার্যক্রম ২০১৮’র (১৪৩৯ হিজরি) উদ্বোধন করতে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এবার ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে মক্কা নগরীতে যাচ্ছেন। হজ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হজযাত্রীদের কাছে দোয়া চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা হজে গিয়ে দেশবাসীর জন্য দোয়া করবেন। দেশ যেন উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হয় এবং আমরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যে কাজ করেছি, যে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি, তা যেন ভালোভাবে শেষ হয় সে জন্য দোয়া করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে হজ ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট সমস্যা ছিল। ১৯৮৪ সালে আমি প্রথম ওমরাহ পালন করতে যাই। মিনায় গিয়ে আমি বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সমস্যার কথা জেনেছি। তখন যদিও আমি কোনো দায়িত্বে ছিলাম না, তবু সৌদি বাদশাকে চিঠি লিখতাম এসব সমস্যা সমাধানের জন্য। পরে ‘৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে হজ ব্যবস্থাপনা ভালো করার জন্য উদ্যোগ নিই। ধীরে ধীরে এই সমস্যার সমাধান করি। আপনারা যেন ভালোভাবে সেবা পান সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হজযাত্রীদের থাকার জন্য সুব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবে হজ টার্মিনালের পাশে হজযাত্রীদের থাকার জন্য ৪০ কোটি টাকা ভাড়া দিয়ে আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে সেখানে হজযাত্রীদের রাস্তাঘাটে পড়ে থাকতে হতো। হাজিদের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সেখানে ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেখানে দোভাষী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হজযাত্রীদের কীভাবে কী করতে হবে সে ব্যাপারে একটা নির্দেশিকা করা হয়েছে। এখন আমাদের হজ ব্যবস্থাপনা সর্বক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জেলায় জেলায় আধুনিক মসজিদ নির্মাণে ৮০ ভাগ জায়গা ইতোমধ্যে চিহ্নিত করেছি। ৮ হাজার কোটি টাকা একনেকে পাস হয়েছে। এ সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে যেন কোনো বিভ্রান্তি না হয় সেজন্য মসজিদ নির্মাণের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক শিক্ষা শুরু করার কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সম্পাদনা: আনিস রহমান