বাংলাদেশি জার্সি আর পাকিস্তানের ফুটবলে হবে বিশ্বকাপ ফাইনাল
বিশ্বজিৎ দত্ত: বাংলাদেশি জার্সি আর পাকিস্তানের ফুটবলেই এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল। ফ্রান্স ইতোমধ্যেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ইংল্যান্ড ও ক্রোশিয়ার মধ্যে খেলায় যে দলই ফাইনালে যাবে তার জার্সি হবে বাংলাদেশের। কারণ দুই দলের জার্সিই তৈরি করেছে বাংলাদেশ। আর পাকিস্তানের ফুটবলতো রয়েছেই। সুতরাং বাংলাদেশের জার্সি গায়ে পাকিস্তানের ফুটবলেই অনুষ্ঠিত হবে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল।
ফিফা রেংকিংয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১৯১তম স্থানে। আর পাকিস্তানের র্যাংকিং ২শ ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ফুটবলে একেবারে ফাইনালে অংশগ্রহণ দুই দেশের ফুটবল ফ্যানদের জন্য আনন্দদায়ক।
উল্লেখ্য, রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২টি দেশের মধ্যে ১৯টি দেশের জার্সি তৈরি করেছে বাংলাদেশ। এই দেশগুলো হলো, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল, স্পেন, বেলজিয়াম, ইতালি, আর্জেন্টিনা, কোস্টারিকা, পর্তুগাল, কলম্বিয়া, রাশিয়া, সুইডেন, ক্রোয়েশিয়া, মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে প্রায় ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকার পোশাক তৈরি করেছে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের পতাকা ও ফিফার জন্য গরম কাপর, ট্রাউজারেও তৈরি করেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের চেয়ে এবারে বাংলাদেশ প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি পণ্যের গার্মেন্ট রফতানি করেছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৈরি গার্মেন্ট পণ্য এখন সবদেশের খেলোয়ারদের গায়েই থাকে। বিজিএমইএ জানায়, শুধু বিশ্বকাপ কেন, ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, জার্মান বুন্দেশ্লিগা, ফ্রান্সের ফরসিনা লীগেও জার্সিতো বাংলাদেশেরই।
অন্যদিকে ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বকাপের ফুটবল সরবরাহ করছে পাকিস্তানের শিয়ালকোট। বিশ্বের প্রায় ৪৭ শতাংশ ফুটবল এই শিয়ালকোট থেকেই সরবরাহ করা হয়। ফিফা এবারের ফুটবল তৈরির কাজ দিয়েছিল এডিডাসকে। এডিডাস শিয়ালকোটের ফরওয়ার্ডস স্পোর্টস নামের কোম্পানিকে বিশ্বকাপ ফুটবল টেলস্টার ১৮ তৈরির কাজ দিয়েছে। এই কোম্পানি প্রতিমাসে ৭ লাখ ফুটবল বিক্রি করে।
উল্লেখ্য, ১৮৮৯ সালে এক ব্রিটিশ সৈনিক তার ফুটবল সারাতে শিয়ালকোটের এক মুচিকে দেয়। কাজে সন্তুষ্ট হয়ে এরপরে ব্রিটিশরা শিয়ালকোট থেকেই তাদের ফুটবল সরানোর কাজ করতো। পরে সেখানকার মুচিদের কাজ দেয়া হয় ফুটবল তৈরির। এরপরে ফুটবল তৈরির ইতিহাস শুধুই শিয়ালকোটের। ২০১০ সাল পর্যন্ত হাতে শেলাই ফুটবল ব্যবহৃত হতো। এখন থার্মোবন্ডেড ফুটবলে খেলা হয়।