শেয়ারবাজার উন্নয়নে আসছে ৪৫৫০ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ
ফয়সাল মেহেদী: শেয়ারবাজার উন্নয়নে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা নতুন বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছরে আইপিও, রাইট ইস্যু কিংবা বন্ডের মাধ্যমে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তিতে শেয়ারবাজার উন্নয়নে এসব লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব।
চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিসাব বছরে ১৭টি কোম্পানিকে আইপিও, রাইট, আরপিও এবং বন্ড বা ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হবে। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৬টি কোম্পানি এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১১টি কোম্পানিকে মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
বিএসইসির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে ইতিমধ্যে রানার অটোমোবাইলকে আইপিওর মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকা এবং বন্ডের মাধ্যমে সিটি ব্যাংককে ৭০০ কোটি টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও শেয়ারবাজার উন্নয়নে নতুন করে ৪ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে ৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছর ৪ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ করা হয়েছিল।
শেয়ারবাজারের সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে ট্রেড পরবর্তী ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্টে বিলম্ব এবং প্রশিক্ষিত বিনিয়োগকারীর অভাব রয়েছে। তাই ২০১৯ সালের ২৭ জুনের মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের পৃথক ক্লিয়ারিং ও সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০ জুনের মধ্যে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির ট্রেড প্লাটফর্ম এবং ১৪ হাজার ৫০০ জনকে বিনিয়োগ শিক্ষা দেওয়া হবে।
বিগত তিন বছরের অর্জন সম্পর্কে বার্ষিক কর্ম সম্পাদন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ২৩টি কোম্পানিকে আইপিও; ১০টি কোম্পানিকে রাইট ইস্যু; ৬১টি কোম্পানিকে বন্ড ও ডিবেঞ্চার এবং ২০টি কোম্পানিকে প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যুসহ ৩৮০টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ও ২৭২টি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে মোট ৬৭ হাজার ১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা মূলধন তোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।