অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে -দুদক চেয়ারম্যান
তরিকুল ইসলাম সুমন: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে ঘটনায় মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি অবৈধ কিনা তা আমাদের জানা দরকার। এর মাধ্যমে কাউকে হয়রানি করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক।
গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে বলেন, আমরা কাউকে হয়রানিকরছি না। এখানে মানিলন্ডারিংয়ের হয়েছে কিনা বা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পত্তি অবৈধ কিনা আমার সকলের জানা দরকার।
তিনি বলেন, এটা একটা অনুসন্ধান। এর মাধ্যমে কাউকে হ্যাস্ত-ন্যাস্ত বা হয়রানি করা উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই সত্য উদঘাটিত হোক এবং দেশের সবকিছু আইন অনুযায়ী চলুক। আমরা অবৈধ অর্থ পাচার এবং অবৈধ সম্পত্তি অর্জনের বিষয় দেখছি। আমাদের সংবিধান বলেছে, আপনি অবৈধ সম্পদ অর্জন কিংবা ভোগ করতে পারবেন না। এজন্য দুদক একটি এ্যাসেট রিকভারি ইউনিট করেছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অনেক চলমান অবৈধ সম্পত্তির মামলায় দুর্ভগ্যক্রমে ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর মামলা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু ওই সম্পদ ঠিকই রয়ে যায়। এগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমরা এই ইউনিট গঠন করেছি। যে কোন অবৈধ সম্পদের বিষয়ে দুদকের কর্তব্য আছে।
পানামা পেপার্সে নাম না থাকা সত্বেও দুদক ডেকে হয়রানি করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবিষয়টি আমি বলতে পারবো না। অনুসন্ধানী কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবে।
তিনি বলেন, আমরা পানামা-প্যারাডাইসের বিষয়টি পত্রিকার মাধ্যমে নজরে এসেছে। মিডিয়াতে আসলে বিষয়টিতো উপেক্ষা করা মুশকিল। আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করছি। সত্যটাতো আমাদের জানতে হবে, আপনাদেরও জানতে হবে।ও