মেট্রোরেলের আর্থিক অগ্রগতি সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা
ইআরডির প্রতিবেদন
সাইদ রিপন: যানজট দূরীকরণে রাজধানীতে দক্ষ ও কার্যকরী দ্রুতগামী পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (মেট্রোরেল)। উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার জুড়ে রাতদিন ২৪ ঘন্টাই চলছে কর্মযজ্ঞ। বর্তমানে বিশাল এই কর্মযজ্ঞ জনগণের ভোগান্তির কারণ হলেও খুব দ্রুতই দৃশ্যমান হচ্ছে প্রকল্পটি। ইতিমধ্যেই আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত চারটি পিলারে দৃশ্যমান হয়েছে প্রকল্পটি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রকল্পটির এ অংশটুকু উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ইআরডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এ প্রকল্পটি সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মেগাপ্রকল্প হিসেবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শুরু থেকে প্রকল্পটি মে মাস পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ১৫ শতাংশ যা টাকার অংকে ৩ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ প্রকল্পটির প্রতিবেদন পাঠিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত লাইন স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ এর অগ্রগতি ১০০ শতাংশ, কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-২ এর অগ্রগতি ৭ শতাংশ, কন্ট্রাক প্যাকেজ-৩ এর অগ্রগতি ১০ শতাংশ, কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-৮ এর অগ্রগতি ১০ দশমিক ২০ শতাংশ। এছাড়া প্যাকেজ-৪, ৫, ৬ ও ৭ এর কন্ট্রাক্ট কার্যক্রম চলমান। প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী পর্যায়ে আগারগাঁও থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকর মতিঝিল পর্যন্ত লাইন স্থাপন করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতে সময় লাগবে মাত্র ৩৭ মিনিট। বিদ্যুৎচালিত এ ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় গড়ে ৩২ কিলোমিটার। এ রুটে ৬টি করে বগির ১৪টি ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিটিতে এক হাজার ৬৯৬ জন যাত্রী পারাপার করতে পারবে। এর মধ্যে আসনে বসতে পারবে ৯৪২ জন এবং দাঁড়িয়ে থাকবে ৭৫৪ জন। প্রতি চার মিনিট পর ট্রেন ছেড়ে যাবে। এতে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিক থেকে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে। সরকার ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। এই এলাকায় ৯টি স্টেশন নির্মাণ হবে। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো প্রকল্প এলাকায় স্টেশন থাকবে ১৬টি। ২০১২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় সরকার। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দেবে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। আর সরকার পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা দেবে।