যশোরে মৎস্য মেলার প্রধান আকর্ষণ মহাশোল
যশোর প্রতিনিধি : যশোরে মৎস্য মেলার প্রধান আকর্ষণ মহাশোল। নামে শোল হলেও এটি আসলে শ্যাওলাভূক মাছ। স্বাদেও অনন্য। জানালেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনাগার যশোরের গবেষনা সহকারী কামরুজ্জামান মিশন। তবে চাষের জন্য এটি ধীরগতির বর্ধনশীল একটি মাছ। পাবদা ও গুলশা অতি সু-স্বাদু একটি মাছ। যশোরে এই দুই প্রজাতীর মাছ উৎপাদন হচ্ছে। মেলার স্টলে রয়েছে ক্রুসিয়ান কার্প জাতের আমেরিকান একটি মাছ। তবে তার চাষ সম্পর্কে এখনো আশানুরুপ কিছু পাওয়া যায়নি। বছরে এক কেজি সাইজের হবে এমন মনোসেক্স তেলাপিয়া পোনা বা রেনু উৎপাদন করছে মৎস্য গবেষনা ইনষ্টিটিউট। এবারের মৎস্য মেলায় মৎস্য গবেষনা ইনষ্টিটিউট যশোরের স্টলটিই কেবল নজরে আসে। তবে ব্যাপক আয়োজন নয়।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনাগার যশোরের গবেষনা সহকারী কামরুজ্জামান মিশন বলেন মহাশোল নাম শুনে ্অনেকেই তার সাইজ দেখতে আসে। তবে এটি দেখতেও যেমন সুন্দর স্বাদেও তেমনি সুস্বাদু। যশোরে ব্যাপকভাবে চাষ শুরু হয়নি। আশে পাশের ডুমুরিয়ায় মৎস্য প্রতিমন্ত্রী শতীশ চন্দ্র রায় একটি বাওড়ে এক বছর আগে ১০,০০০ মহাশোল পোনা ছেড়েছেন। এটিই এই অঞ্চলে মহা শোল মাছ চাষের বড় চালান। তবে মাছ চাষীদের জন্য আশাপ্রদ হয়তো নয়। কেননা এটি দ্রুত বর্ধনশীল মাছ নয়। এর থেকে পাবদা ও গুলশা চাষের জন্য আশাপ্রদ। ক্রসিয়ান কার্প মাছ মার্কিন যুক্তরাষ্ট থেকে আনা হয়েছে দ্রুত বর্ধনশীল হিসেবে তবে তা এখনো আশা জাগাতে পারেনি। এটি আমাদের আবহাওয়ার সাথে এখনো ম্যাচ হয়নি বলেই তিনি জানান।
তিন দিন ব্যাপী মৎস্য মেলা শুক্রবার সকালে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড.শেখ শফিকুর রহমান, যশোর জেলা হ্যাচারী মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব ফিরোজ খান, সহ সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মেজবাহ উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক জাহিদুর রহমান গোলদার, হাফেজ শেখ বাহা উদ্দীন, চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শেখ খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।
চাঁচড়াস্থ সব্জীবাগে এই মেলায় প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক হাজির হচ্ছে। তবে খাওয়ার মাছ বিক্রি হচ্ছে দুটি হ্যাচারিতে। সোনালী ফিশ সেন্টার ও রুপালী মৎস্য হ্যাচারিতে তা বিক্রি হচ্ছে। তবে খুব বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হয়নি। মাছ চাষীদের আকাঙ্খা যশোরের মাছের ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করে বড়সড় মেলা আয়োজনের কথা কতৃপক্ষের মাথায় রাখতে হবে। আজ রোববার মেলা শেষ হবে।