ব্রেক্সিটের পর থেরেসার নীতি নিয়ে ইইউ’র উদ্বেগ
লিহান লিমা: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সদ্য বেক্সিট প্রস্তাবনা ‘হোয়াইট পেপার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন। শুক্রবার ব্রাসেলসে ২৭টি দেশের মন্ত্রীরা তিন ঘণ্টার বৈঠকের পর ব্রেক্সিটের পর ইইউ’র সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক বিষয়ক থেরেসার নীতি নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেন।
অন্যদিকে থেরেসা মে আশা প্রকাশ করছেন তার ‘হোয়াইট পেপার’ ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনকে ইইউর সঙ্গে দ্বন্দ্বমূলক বাণিজ্য সম্পর্ক এড়াতে সহায়তা করবে। কিন্তু ইউরোপিয় ইউনিয়নের প্রধান ব্রেক্সিট বিষয়ক সমঝোতাকারী মাইকেল বার্নিয়ার থেরেসার প্রস্তাবের কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, এগুলো ইইউ ব্লকের সাধারণ নীতিমালার সঙ্গে যায় না।
বার্নিয়ার বলেন, ‘হোয়াইট পেপারে এরকম অনেক বিষয় আছে যা ইইউ কাউন্সিলের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইইউ কখনোই একক বাজারকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে না।’ ইইউ কর্তৃপক্ষ হোয়াইট পেপারের কিছু বিষয়কে বিতর্কিত বলে উল্লেখ করে বলেন, সেখানে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, একক নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তার যে প্রস্তাবনা দেখানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। বার্নিয়ারের এই মন্তব্য থেরেসার হোয়াইট পেপারের বিরোধী টোরি সদস্য, পদত্যাগ করা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন এবং ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিস ডেভিসের অভিযোগকেই সমর্থন করছে। ২০১৯ সালে মার্চে ইইউ থেকে বের হবে ইউকে। কিন্তু অক্টোবরের আগেই দেশটিতে অন্তবর্তীকালীন সম্পর্ক এবং ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নীতিমালা চূড়ান্ত করতে হবে। স্পুটনিক।