আফগানিস্তানে আত্মসমর্পণকারী আইএস সদস্যদের সঙ্গে যুদ্ধবন্দির আচরণ করা হবে, রাষ্ট্রীয় অতিথি নয় : মার্কিন জেনারেল
ইমরুল শাহেদ: যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আফগান কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, গত সপ্তাহে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) যারা আত্মসমর্পণ করেছেন তাদের সঙ্গে যুদ্ধবন্দি হিসেবেই আচরণ করা হবে এবং তাদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথির আচরণ করা হবে না। কিন্তু যখন তারা আত্মসমর্পণ করেছিল তখন প্রাথমিকভাবে তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়েছিল। বুধবার এ কথা বলেছেন একজন মার্কিন জেনারেল।
পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকতায় থাকা কাবুল সরকার এবং তালেবানদের মধ্যে শান্তি আলোচনার চাপ যখন ক্রমশ বাড়ছিল ঠিক তখন মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন আইএস এই আলোচনার অংশ নয়। বরং তারা বাদই থাকবে। রক্তঝরা আফগানিস্তানের এই যুদ্ধে ইসলামিক স্টেট নিষ্ঠুরতা, প্রতিপক্ষের শিরñেদ বা শক্তিবলে তাদেরকে বিস্ফোরকের উপর স্থাপনের জন্য দুর্নাম কুড়িয়েছে। কিন্তু গত সপ্তাহে আফগান গভর্নরের কার্যালয় থেকে দুই জন কমান্ডারসহ ইসলামিক স্টেটের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কথা বলা হয়েছিল। সেজন্যই তারা তালেবানদের শক্ত ঘাঁটি থেকে বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেছিল। মার্কিন সেনা বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল জোসেফ ভোটেল বলেছেন, আফগানরা ইসলামিক স্টেটের আত্মসমর্পণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। তারা আইএস সদস্যদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারই করবে। ভোটেল পেন্টগনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আফগান সরকার আমাদের বলেছে তারা আইএসআইএস-কে যোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধবন্দির ব্যবহারই করবে।’ ভোটেল বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং যুদ্ধাপরাধে তাদের বিচার হবে। বেসামরিক লোকজন যারা ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে রেহাই পেয়েছেন তারা ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তারা বেসামরিক লোকদের পরিবার থেকে নারী এবং তরুণীদের ছিনিয়ে নিয়ে গেছে, তাদের ধর্ষণ করেছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে তাদেরকে হত্যাও করেছে।
অন্যদিকে ইসলামিক স্টেট কৌশলগতভাবে শনিবারের আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে। শিয়া মসজিদে চালানো এই আত্মঘাতী হামলায় ৩৯ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন। আত্মসমর্পণকারী ইসলামিক স্টেট সদস্যের সঙ্গে যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সময় তাদের সামগ্রিক কর্মকা- বিবেচনায় রাখা হবে। ইয়ন