ডেনিমে সম্ভবনার হাতছানি বাংলাদেশের
যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ
আসিফুজ্জামান পৃথিল: ট্রাম্পের শুরু করা তথাকথিত বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু পণ্য। এর মধ্যে যেমন চীন ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের পণ্য রয়েছে তেমনি রয়েছে মার্কিন পণ্যও। এসব ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমেরিকান জিন্স। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্কারোপের বিপরীতে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউরোপিয় ইউনিয়ন আমেরিকান জিন্সের উপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে। সিবিএস
তবে বড় জিন্স উৎপাদকদের চাইতে এর ফলে অধিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদকরা। লেভি স্ট্রাউসের মতো বড় ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য সাধারণত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে উৎপাদন করেন। তাই তাদের উপর জুন থেকে কার্যকর হওয়া ইউরোপিয়ান শুল্কের তেমন প্রভাব পড়বে না।
যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক ও পাদুকা অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাটে হারম্যান সিবিএসকে বলেন, ‘লিভাইস, লি, ওরাংলার কিংবা অন্যান্য মার্কিন কোম্পানি যারা বাংলাদেশ, চীন, কানাডা কিংবা বিশ্বের অন্য কোথাও থেকে নিজেদের পণ্য রপ্তানি করে তাদের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি পণ্য বলে চিহ্নিত হবে না। যদিও এগুলো মার্কিন কোম্পানি লি, ওরাংলার বা লেভির পণ্য। এগুলো চীন কিংবা বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বলে চিহ্নিত হবে।’
অবশ্য এর মানে এই নয় যে বড় ডেনিম প্রস্তুতকারকরা এই ঘটনায় সামান্যতমও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। চীন মার্কিন তুলার উপর শুল্কারোপ করেছে। চীনে মার্কিন পোশাক কোম্পানিগুলোর জন্য জিন্স এবং অন্যান্য কাপড় তৈরিতে এই তুলাই ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য খুলে গেছে এক অপার সম্ভাবনার দুয়ার। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা রপ্তানির উপর এরকম কোনো শুল্ক কার্যকর নেই। সে কারণে শুধু সস্তা শ্রম নয়, বাংলাদেশে চীনের তুলনায় কাঁচামালের খরচও কমে যাবে বহুগুণ।
উল্লেখ্য, ভারতে অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশটির বস্ত্রখাতের ৩২টি পণ্যের উপর ২০ ভাগ শুল্কারোপ করা হয়েছে। এর ফলে চীন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের তুলনায় ভারতে বস্ত্র রপ্তানীতে অধিক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন