নতুন কলরেটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ফাহিম ফয়সাল: সরকার নির্ধারিত মোবাইল ফোন কলরেটের নতুন হার সোমবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে মোবাইল অপারেটরগুলো ৪৫ পয়সার নিচে এবং ২ টাকার বেশি কলরেট নির্ধারণ করতে পারবে না। নতুন কলরেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। গ্রাহকেরা জানান, উন্নত দেশে মোবাইল কোম্পানিগুলো সবসময় গ্রাহকদের সাশ্রয়ী কলরেট ও অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে কলরেট বাড়ানো কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। যাদের অননেটে বেশি কথা বলতে হয়, তাদের খরচ অনেক বেড়ে যাবে আর সর্বোচ্চ রেটটা আরেকটু কমানো উচিৎ ছিল।
বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানান, আগে ২৫ পয়সা সর্বনিম্ন রেট থাকলেও অননেটের জন্যে গড় কল খরচ ছিল ৪৯ পয়সা। আর দেশের মোট ভয়েস কলের সিংহভাগই অননেটের কল ছিল। আবার অফনেটে ৬০ পয়সা সর্বনিন্ম হলেও অপারেটররা গড়ে চার্জ করতো ৯১ পয়সা। বর্তমানে সর্বনি¤œ খরচ কিছুটা বেশি হয়ে গেছে। ফলে গ্রাহকের সামগ্রিক খরচ আগের চেয়ে বাড়তে পারে যা অপারেটরদের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণফোন থেকে ৯০ শতাংশ কল হয় অননেটে, ১০ শতাংশ কল অফনেটে হয়। অন্যদিকে সরকারের মালিকানাধীন অপারেটর টেলিটকের ১০ শতাংশ কল অননেটে ও ৯০ শতাংশ কল অফনেটে হচ্ছে। রবি ও বাংলালিংকের অননেট-অফনেট কলের পরিমাণ ৭০ ও ৩০ শতাংশ।
বাংলালিংক-এর চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘বাংলালিংক সরকারের এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এটি গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক বেছে নেয়া ও একই কলরেটে অননেট ও অফনেট কল করার স্বাধীনতা দেয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রা আরও সহজ করতে ভূমিকা রাখবে যা পূর্বে সম্ভব ছিলো না। বাংলালিংক তার গ্রাহককে সবসময় বেশি সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’।
রবির কমিউনিকেশন অ্যান্ড করপোরেট রেসপন্সিবিলিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবির জানান, মোবাইল ফোনের কলরেটের নতুন এই হার নির্ধারিত হওয়ার ফলে কলরেট কমলো। নতুন কলরেটের কারণে গ্রাহকদের গড় কলরেট কমে যাবে। আগে অফনেট ও অননেটের মধ্যে দামের যে পার্থক্য ছিল, তা এখন আর থাকছে না। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন