দুই মাসের মধ্যে দেশের শতভাগ বিদ্যুতায়ন: সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, একমাত্র বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বিদ্যুতায়নের কাজ করেছে। এখন পর্যন্ত শতকরা ৯২ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি, বাকিটাও দ্রুত শেষ করা যাবে। আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা। এর জন্য আর দুই এক মাস লাগবে।
গতকাল বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ২০১৮ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, যতদ্রুত সম্ভব কাছাকাছি চলে যাবো। আমাদের প্রতিটি এলাকায় খাল, বিল অতিক্রম করে নতুন ট্রান্সফর্মা, মাইলকে মাইল তার টেনে নতুন গ্রিড লাইন করে সীমিত অর্থের মধ্যে কাজ করাটা খুবই চ্যালেঞ্জ। আগামীতে আমরা চাইবো বিদ্যুৎ খাতে অর্থ বেগবান করার জন্য অর্থমন্ত্রী আন্তরিক হবেন।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মোর্শেদ আলম (নোয়াখালী-২) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চাহিদা অনুযায়ী গড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে সরকারি খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৯৮৬ মেগাওয়াট এবং বেসরকারি খাতে স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৫৭ মেগাওয়াট। প্রতিদিন চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মেরিট অর্ডার ডেসপাস অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর দক্ষিণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বর্জ্য থেকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারিভাবে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে আইপিপি হিসেব বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে ৩৫ মেগাওয়াট এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, বর্জ্য সরবরাহ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান বিষয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং সিটি কর্পোরেশন এর মাঝে এমওইউ স্বাক্ষরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বর্জ্য ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য চলতি বছরের ২৭ জুলাই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দরপত্র উন্মুক্তকরণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।