জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাজেট কমাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
লিহান লিমা: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে অসদুপায় অবলম্বনকারী ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া রেজ্যুলেশন উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই খসড়া প্রস্তাবে শান্তিরক্ষা বাজেট থেকে ৬৯০ কোটি ডলার ছাঁটকাট করার প্রস্তাব দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।
এর আগে মধ্য আফ্রিকা রিপাবলিক ও দক্ষিণ সুদানে যৌন হয়রানি ও নাগরিকদের যথাযথ সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সমালোচনার মুখে পড়ে। বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে শান্তিরক্ষা বিষয়ক বৈঠকে নিকি হ্যালি বলেন, যাদের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে তারাই হয়রানি ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত। যারা জনসাধারণকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত শান্তিরক্ষীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে, তাকে এর জন্য কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না ও তার স্থলে অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া হবে না। এছাড়া পারফরমেন্সে ব্যর্থতার হিসাব খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের ১৪টি মিশনে ৯৬ হাজার শান্তিরক্ষী আছে। জাতিংঘের শান্তিরক্ষা বাজেটের ২৫ ভাগই যুক্তরাষ্ট্র প্রদান করে। শান্তিরক্ষা মিশনে দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশীদার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, পারফরমেন্স ব্যর্থতার অভিযোগে যদি বাজেট কর্তন করা হয়, জনবল কমানো হয় তাহলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জন হলেও শান্তিরক্ষা মিশনের সফলতা অর্জন কঠিন হবে।
এদিকে রাশিয়া এবং চীন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবের নীরব সম্মতি দিয়েছে। তবে তারা আরো জানায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যে দেশগুলোর অবদান রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নিবেনজিয়া বলেন, রাশিয়া শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখা দেশগুলোকে শাস্তি প্রদানের বদলে রাজনৈতিক বোঝাপড়ায় পারফরমেন্স উন্নত করতে বিশ্বাসী। ডয়েচে ভেলে।