প্রতিষ্ঠানপ্রধান নারীদের সংখ্যা ১০ বছরে বেড়েছে ৫ গুণ
সাইদ রিপন : দেশে উন্নয়নের পাশাপশি কর্মক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে নারীদের অংশগ্রহণ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অর্থনৈতিক শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবেও নারীদের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিবিএসের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নারীদের সংখ্যা বেড়েছে ৭ দশমিক ২১ শতাংশ। যা ১০ বছর আগে ছিলো ২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে দেশে মোট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নারী প্রধান প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৮টি। যা ২০০১ এবং ২০০৩ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ১ লাখ ৩ হাজার ৮৫৮টি। এতে দেখা যাচ্ছে এক দশকে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁচ গুণেরও বেশি। এছাড়া ২০০১ এবং ০৩ সালে বাংলাদেশে মোট নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ২৯ হাজার ৪১৩ জন। যা মোট শ্রমিকের ১০ দশমিক ৯১ শতাংশ। সেটি বেড়ে গিয়ে ২০১৩ সালে হয়েছে ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৭১৮ জন, যা মোট শ্রমিকের ১৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বিবিএস ২০১৩ সালের শুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২০১৫ সালে প্রকাশ করেছে। প্রতি দশ বছর পর পর অর্থনৈতিক শুমারির কাজ পরিচালনা করা হয়। এ বিষয়ে অর্থনৈতিক শুমারির প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন বলেন, ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় নারীবান্ধব কর্মসূচীর কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। বর্তমানে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা জেন্ডার ভিশনে বলা হয়েছে, একটি স্বাধীন দেশ যেখানে নারী ও পুরুষের সমান সুযোগ ও অধিকার থাকবে এবং যেখানে নারীরা অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে সমান অংশীদার হিসেবে চিহ্নিত হবে। মূলত সরকারের পরিকল্পনা ও জন সচেতনতায় দিনদিন সব ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে।