আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন ও ডুয়েলগেজ প্রকল্প উদ্বোধন করলেন দুই সরকার প্রধান
হুমায়ুন কবির খোকন : বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিবেশীর সম্পর্ক পারিবারিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইন ও ডুয়েলগেজ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই দেশের সরকার প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিকাল ৫টার দিকে ভারতের দিল্লির সরকারি দফতর সাউথ ব্লক থেকে মোদি এবং গণভবন থেকে শেখ হাসিনা রিমোট সুইচ টিপে প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ ধরনের দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়ন সম্ভাবনার দিগন্ত আরও সম্প্রসারিত হবে। বিগত কয়েক বছরে আমাদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমরা উভয় দেশের জনগণের উন্নত সমৃদ্ধির জন্য সমৃদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং আমরা কাজ করে যাবো। বাংলাদেশ ভারতের জনগণ সবসময়ই ভালো প্রতিবেশী। এ জন্য ভারত সরকারের কাছে নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি নিশ্চিত যে, আমাদের জনগণের বৃহত্তরও কল্যাণের জন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের মধ্যে উপস্থিত হবে।
এসময় ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে আনা তেল বাংলাদেশে জ্বালানি সাশ্রয়ে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, প্রতিবেশির সম্পর্ক পারিবারিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। প্রতিবেশীর সম্পর্ক কতটা গভীর হতে পারে বিশ্ববাসীর জন্য সে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ভারত-বাংলাদেশ।
এসময় মোদি ভারতীয় এলওসির অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের মাধ্যমে পণ সরবরাহ ও যাতায়াতে দুই দেশই উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন। ১০ দিনের ব্যবধানে ৫টি বড় দাগের প্রকল্পের যৌথ সূচনায় দুই দেশের সহযোগিতার মাত্রা ও সক্ষমতার প্রশংসাও করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।