আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ১
পদ্মা নদীর তীর রক্ষাসহ ৫ হাজার কোটি টাকার ২০ প্রস্তাব ক্রয় কমিটিতে অনুমোদন
সোহেল রহমান : শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে ডান তীর রক্ষায় ১ হাজার ৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগসহ ২০টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৫ হাজার ৩১ কোটি টাকা। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সৌদি আরবের রিয়াদে ‘বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স’ নির্মাণ সংক্রান্ত ব্যয় বৃদ্ধির (ভেরিয়েশন) দুটি প্রস্তাব রয়েছে। দুটি প্রস্তাবে মোট ব্যয় বেড়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়ন করবে ‘খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড’। শিগগির এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি জরুরী ভিত্তিতে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকে দািয়ত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৮ দশমিক ৯০ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ, ৯ দশমিক ৭৫০ কিলোমিটার ড্রেজিং, ০.০৮৯ কিলোমিটার এন্ড টারমিনেশন এবং ৮টি আরসিসি পাকা ঘাট নির্মাণ করা হবে।
তিনি জানান, বৈঠকে চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পের বিভিন্ন কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৭৮৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব জানান, রাজধানীর উত্তরার আশকোনায় র্যাব ফোর্সের হেডকোয়ার্টার্স কমপ্লেক্স নির্মাণের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। এছাড়া ‘জাতীয় রাজস্ব ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘কনস্ট্রাকশন অব ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ বিল্ডিং’ শীর্ষক কাজের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৩১৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
তিনি জানান, অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার, ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগ্ড গ্রানুলার ইউরিয়া সার ও ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগ্ড প্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির ঠিকাদার নিয়োগের তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে যথাক্রমে ৯৩ কোটি ২২ লাখ টাকা, ২২৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও ২২৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এছাড়া সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকিউরমেন্ট অব সিভিল ওয়ার্কস কন্ট্রাক্টর্স ফর ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ২৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।