সরকারের বিভিন্ন দফতরের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া দেড় হাজার কোটি টাকা
শাহীন চৌধুরী: সরকারের ৪৩টি মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ বিভিন্ন বিভাগ ও দফতর এবং আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১ হাজার ৪শ’ ৩৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে রয়েছে। গত ৩১ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এই পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। গত সাড়ে তিন মাসে এই টাকা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সূত্র জানায়, বকেয়া পাওনার মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৬৬৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা ও আধা-সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা ৭৬৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে বকেয়া ৬৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয়ের অধীন্থ নন বেঙ্গলী ক্যাম্পাসসহ বকেয়া ৯৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ে কাছে বকেয়া ৫৭ লাখ ৩২ লাখ টাকা। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাছে বকেয়া ৪৬ কোটি ৯৬ লাখ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বকেয়া ৩৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। স্থানীয় সরকার বিভাগে বকেয়া ৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কৃষি মন্ত্রণালয়ে কাছে বকেয়া ২৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বকেয়া ২২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিল বকেয়া ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে কাছে বকেয়া ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বকেয়া ১৩ কোটি ৮৫ লাখ। ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের বকেয়া ১২ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। এছাড়া বেশকিছু আধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিপুল পরিমান বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে বকেয়া বিল আদায়ের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নকরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। এখন প্রতিদিন সন্ধ্যায় গড়ে ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। দেশের শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, এটি একটি বড় সমস্যা। এই বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল আদায় করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দিয়েছি। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে একটি আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকও করেছি। আশা করি শিগগিরই বিল আদায় হয়ে যাবে।