আনোয়ার চৌধুরীকে কেইম্যান দ্বীপের গভর্নর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার
বাংলাট্রিবিউন : ব্রিটেনের কেইম্যান দ্বীপে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গভর্নর আনোয়ার চৌধুরীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে লন্ডনে তার বিরুদ্ধে তদন্তের পর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর কেইম্যান কমপাসের।
বৃহস্পতিবার কেইম্যান দ্বীপের গভর্নর অফিসের এক বিবৃতিতে এটি জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে তদন্তের পর তিনি কেইম্যান দ্বীপের গভর্নর হিসেবে আর যোগ দেবেন না। কিন্তু লন্ডনে অন্য আরেকটি কূটনীতিক পদে যোগ দেবেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাময়িক সময়ের জন্য একজন গভর্নর নিয়োগ দেয়া হবে। তবে স্থায়ীভাবে গভর্নর নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
ব্ল্যাকচেইন কনফারেন্সে অংশ নিয়ে বর্তমানে বার্বাডোজে অবস্থান করা কেইম্যান দ্বীপের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যালডেন ম্যাকলগলিন বলেছেন, ব্রিটেনের বৈদেশিক অঞ্চল বিষয?ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমাদ বৃহস্পতিবার তাকে ফোন করে এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে আনোয়ার চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ধরন নিয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) নীরবতা বজায় রেখেছে। তাই কী কারণে আনোয়ার চৌধুরীকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হলো সেটা হয়তো কেইম্যান দ্বীপের মানুষ কখনই জানতে পারবেন না। মার্চ মাসে কেইম্যান দ্বীপের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে গেল জুনে তাকে লন্ডন ডেকে পাঠানো হয়। কেইম্যান দ্বীপের মানুষ বেশ ভালোভাবেই আনোয়ার চৌধুরীকে গ্রহণ করেছিল। তাই গেল জুলাই মাসে তাকে পুনর্বহাল করার দাবিতে একটি পিটিশন চালু করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ব্রিটেনের কেইম্যান দ্বীপের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আনোয়ার চৌধুরী। এর আগে ২০০৪ সালে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হিসেবে ব্রিটিশ হাইকমিসনার হিসেবে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চার বছর বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করার পর একজন সিনিয়র পলিসি ডিরেক্টর হিসেবে ২০০৮ সালে এফসিও-তে যোগ দেন আনোয়ার চৌধুরী। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ