আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৪
‘বাংলাদেশ ৫ বছর পর সিঙ্গাপুর ও দুবাইকে পেছনে ফেলবে’
সাইদ রিপন : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসেছে আগামী ৫ বছর পর বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ও দুবাইকে পেছনে ফেলবে। তবে তার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার পূর্বশর্ত হলো উন্নত যোগযোগ ব্যবস্থা।
গতকাল রোববার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে মানসম্মত সড়ক অবকাঠামো বিনির্মাণ : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনা বিভাগের সচিব জিয়াউল ইসলাম, আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম, সওজ এর প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, গবেষক কলামিস্ট আবুল মকসুদ, বুয়েট অধ্যাপক শামসুল হক এবং নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিটুমিনের চেয়ে কংক্রিটের রাস্তা বেশি টেকসই হবে। জলবায়ুর কারণে বর্তমানে দেশে বছরের বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টি থাকে। আর বিটুমিনের একমাত্র শত্রু হচ্ছে পানি। এজন্য বিটুমিনের রাস্তা বেশিদিন টেকসই হয় না। তাই ২০ বছরের পরিকল্পনা সামনে রেখে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
আমার বিশ্বাস কংক্রিটের রাস্তায় প্রথম ১০ বছর হাতই দিতে হবে না। হয়তোবা কংক্রিটের রাস্তায় খরচ প্রথমে বেশি হবে কিন্তু টেকসই হিসেবে বিটুমিনের চেয়ে অনেক কম হবে। যদিও সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, তবুও এর ভিতর দিয়েই কাজ করতে হবে। সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করেই দেশকে উন্নয়ন করতে হবে। তাছাড়া জনগণকে প্রকল্পের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কিসের আশায় বিটুমিনের সড়ক নির্মাণে আগ্রহী। এটা ভুলে যান। কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করে মানুষকে মুক্তি দিন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সত্ত্বেও আপনারা কেন কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করছেন না। পৃথিবীর অনেক দেশ বিটুমিন ছেড়ে কংক্রিটের সড়ক নির্মাণ করছে।
উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান বলছে, গত ৪ দশকে দেশে সড়ক মহাসড়কের সংখ্যা বেড়েছে ২০ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু তাতে রক্ষা হচ্ছে না সরকারের গুণগতমান। এতে অর্থ ব্যয় হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সুফল পাচ্ছে না কেউ। সুফল না পাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতাকে দুষছেন বিশেজ্ঞরা।