আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৩
২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে মার্কিন শুল্ক কার্যকর
শরিফ উদ্দিন আহমেদ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি গতকাল সোমবার থেকে আরও ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক কার্যকর হয়েছে। এনিয়ে চীনা পণ্যে তৃতীয় দফায় মার্কিন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো। ২০ হাজার কোটি ডলার মূল্যমানের চীনা পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে চীনের অন্যায্য বাণিজ্য নীতিকে।
চীনের ভাষ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র ‘আন্ত:দেশীয় অর্থনীতিতে সর্বকালের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য যুদ্ধ’ শুরু করেছে। চীন তার অর্থনীতিকে দুর্বল করতে ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহিত চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের জবাবে ১১০ ডলার মূল্যমানের ৬ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উভয় দেশই এ বছরের শুরুতে একে অন্যের ৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করে। জুলাইয়ে শুল্ক আরোপ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে মোট ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হলো।
মার্কিন প্রশাসন এই ২০ হাজার কোটি ডলারের ৬ হাজার পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলো। দুই দেশের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে ২০১৯ সালের শুরুতে এই শুল্কের হার ২৫% এ উন্নীত হবে।
এর বিপরীতে ছোট আকৃতির মার্কিন বিমান, কম্পিউটার ও টেক্সটাইল পণ্যের ওপর ৫% অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে চীন। রাসায়নিক দ্রব্য, মাংস, গম ও ওয়াইনের ওপর আরোপ করা হয়েছে ১০% শুল্ক।
তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন অ্যাপেল এবং ফিটবিট কোম্পানীর পণ্য, শিশু নিরাপত্তা পণ্য যেমন হাই চেয়ার, গাড়ির সিট এবং প্লেপেন, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পণ্য যেমন হেলমেটে শুল্ক আরোপ করে নি।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে বেইজিংও ৬ হাজার কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যে ৫ থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর যেভাবে শুল্ক আরোপ করবে তারাও সেভাবে বাড়াবে।
এদিকে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ বৃদ্ধি করার বিরোধ মেটাতে চীন তার উপ প্রধানমন্ত্রী লিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ট্রাম্প গত সপ্তায় হুমকির সুরে বলেন যে চীনা সকল পণ্যের ওপরই শুল্ক আরোপ করবে যদি চীন ওয়াশিংটনের দাবি অনুযায়ী বাণিজ্য ঘাটতি না কমায় কিংবা মার্কিন কৃষক এবং উৎপাদকদের কাছ থেকে বেশি বেশি পণ্য না কেনে। ইতোমধ্যেই রেটিং এজেন্সি ফিচ বলেছে আগামী বছর চীনের আয় কমতে পারে। আইএমএফের মুখপাত্র জেরি রিচ বলেছেন এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এই দুই দেশসহ গোটা বিশ্বেই অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ইয়ন, বিবিসি বাংলা।