আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তি ও নতুন উদ্ভাবন নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
তরিকুল ইসলাম : যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তি ও নতুন উদ্ভাবন নিয়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীদের সরকার পূর্ণ সহযোগিতা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। উভয়ের লাভের জন্য ব্যবসা, প্রযুক্তি ও নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আপনারা বাংলাদেশে আসুন। আমাদের বিপুল জনশক্তি রয়েছে, যারা কর্মঠ। তাদের মজুরিও বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক। এ ছাড়া কোটামুক্ত বাজার সুবিধাও রয়েছে।
একই সঙ্গে দেশটির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে একক বৃহত্তম অংশীদার। উভয় দেশের মধ্যে ২০১৬-১৭ সালে সাড়ে সাতশ কোটি ডলারের বাণিজ্য ছিল। তিনশ কোটি ডলারের দ্বিতীয় বিনিয়োগ সহযোগীও যুক্তরাষ্ট্র। সাড়ে ৯ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলার। ১২ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে মূল্যস্ফীতি নেমে এসেছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে। দারিদ্র্যের হার এখন ২১ দশমিক ৮ শতাংশে কমিয়ে এনেছি। বাংলাদেশ এখন ৩০ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ, যা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। শিগগিরই বাংলাদেশ এই তালিকায় প্রথম অবস্থানে চলে আসবে।
সোমবার নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র চেম্বার অব কমার্সের মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়ে দেশটির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ ১২৫টি দেশে রফতানি হচ্ছে। বিশ্বে সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাল উৎপাদনে চতুর্থ ও অভ্যন্তরীণ মৎস্য সম্পদ উৎপাদনে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছি। এ অবস্থাতেও বাংলাদেশে এখন ব্যবসার জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে।