দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সুরক্ষায় কর্মসংস্থান বাড়ানোর তাগিদ ড. আতিউর রহমানের
আশিক রহমান : মধ্যবিত্তকে সুরক্ষায় কর্মসংস্থান বাড়ানোর তাগিদ দিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যখন কোনো দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ে, পুঁজির প্রসার ঘটে তখন মধ্যবিত্ত শ্রেণি চাপে পড়ে। সারা দুনিয়ায়ই এমনটি ঘটছে। পুঁজির প্রসারে উচ্চবিত্ত ও নি¤œবিত্ত লাভবান হয়। কিন্তু মাঝখানে যারা রয়েছে তাদেরকে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আমাদের এখানেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।
মধ্যবিত্তকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে ভাবতে হয়। এ শ্রেণির মানুষের সাধারণত নিজস্ব গাড়ি থাকে না, পাবলিক ট্রান্সপোর্টের ওপর নির্ভর করে থাকে তারা। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যদি তাদের জন্য উন্নত করা যায়, তাদের ছেলেমেয়েদের যদি কম খরচে পড়ালেখা করার সুযোগ করে দেওয়া যায়, বেশি করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া যায়, বেশিসংখ্যক ছেলেমেয়েকে বৃত্তির আওতায় আনা যায়, তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলা যায় তাহলে তারা চাকরি পাবে। এর ফলে মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক চাপ সহ্য করার সক্ষমতা তৈরি হবে। এজন্য সরকারকে সুযোগ-সুবিধাগুলো বাড়িয়ে দিতে হবে।
মধ্যবিত্তের জন্য যে অর্থনৈতিক চাপ এখন রয়েছে তা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। মোকাবিলা করতে হবে সব চ্যালেঞ্জ। আমাদের অর্থনীতি ভারসাম্য হারাবে না যদি মধ্যবিত্তের সুযোগ-সুবিধাগুলো বাড়িয়ে দিতে পারি। প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পারি। আমার ধারণা আমাদের অর্থনীতি এখনো ভারসাম্য হারায়নি। তবে পাবলিকের যে সেবা তা খুব দক্ষতার সঙ্গে, মানবিকতার সঙ্গে করে যেতে হবে তাহলে ভারসাম্যটা থাকবে।
মধ্যবিত্তের মূল সংকট তাদের কর্মসংস্থান। মনে শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কর্মস্থানের অভাব। স্বাস্থ্যখাতের সুযোগ-সুবিধা নিতে হলে অনেক খরচ তাদের করতে হয়, যা তাদের অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে মধ্যে থাকে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবীমা করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে সংশ্লিষ্টদের।